Read Time:4 Minute, 0 Second

ভারতে বন্যা হলে ভাটির দেশ বাংলাদেশে অবধারিতভাবে এর প্রভাব পড়ে। তাই বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মতো দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নতুন কোনো ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ ধারণার বিষয়টি সামনে আনেন।

বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের আলোচনায় ত্রিপুরার বৃষ্টির প্রসঙ্গটি এসেছে। ত্রিপুরার বাঁধের কথা এসেছে এবং এটি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি রিলিজ (চলে আসা) হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পানির উচ্চতা বেশি থাকায় বাঁধ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি রিলিজ হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজিবি ও ভারতের বিএসএফের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। এ ধরনের কোনো সহযোগিতা করা যায় কি না… যখন বন্যা পরিস্থিতি হবে, তখন বৈঠক করা যায়। আমরা এবং ভারত একই অববাহিকায় রয়েছি। এ ছাড়া আমরা একই পানি ব্যবহার করি। সে জন্য দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি ব্যবস্থায় কাজ করা যায় কি না।’

প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি তুলেছেন। প্রধান উপদেষ্টা চাইছেন, পানিবণ্টন নিয়ে যেসব বিষয় আছে, সেটি যেন যৌথভাবে কাজ করে নিষ্পত্তি করা যায়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনার তাঁদের হাইকমিশন এবং হাইকমিশনের স্থাপনার (স্টাবলিশমেন্ট) নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। হাইকমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্ট এসেছে, যা দুঃখজনক।

প্রেস সচিব জানান, আলোচনায় সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গটি এসেছে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন যে সংখ্যালঘু নিয়ে কিছু সংবাদ অতিরঞ্জিত। এটির জন্য তিনি ভারতের সাংবাদিকদের আহ্বান করেছেন বাংলাদেশ সফরের জন্য এবং তাঁরা যেন নিজের মতো করে ঘুরে দেখেন—কোথায় কী হয়েছে।

প্রেস সচিব জানান, দুই দেশের জনগণের পর্যায়ে যোগাযোগ নিয়ে কথা হয়েছে। হাইকমিশনার জানিয়েছেন, গত বছর ১৬ লাখ বাংলাদেশি চিকিৎসা, পর্যটনসহ নানা কারণে ভারত সফর করেছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ত্রিপুরার সংবাদমাধ্যম : ভারতই ডুম্বুরের বাঁধ খুলে দিয়েছে
Next post শেখ হাসিনাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন আনিসুল
Close