প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় জড়িতদের কেউ ছাড় পাবে না। তাদের ডাকে কেই সাড়া দেয়নি। যারা এই জঘন্য কাজ করেছে তাদের কোনো ছাড় নেই। জ্বালাও-পোড়াওয়ের হুকুমদাতা তাদের আমরা গ্রেপ্তার করেছি, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন জঘন্য কাজ না করতে পারে সেটাই আমরা চাই। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫’ পরবর্তী নির্বাচন যেন না হয় সে চক্রান্ত হয়েছিল। যতবার নির্বাচন বানচালের করতে চেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি। আসলে মানুষ কিন্তু আবার তার ভোটটা চুরি করলে ঠিকই ধরে ফেলে। ‘৯৬’ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করেছিল। তখন সারাদেশে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী সবাইকে নামিয়ে নির্বাচন করেছিল। কিন্তু সে নির্বাচনে ভোটার যায়নি। তারপরও সিল মেরে বাক্স ভরে ভোট নিলেও ২২ শতাংশের বেশি ভোট হয়নি। জনগণ তা মেনে নেয়নি, যে কারণে আন্দোলন হয় এবং খালেদা জিয়া পদত্যাগ করে।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের জয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনই উন্নতি হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। করোনাভাইরাসের অতিমারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জিনিসের দাম বেড়েছে। আবার নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে। যে কারণে হয়ত সামনে আরো দুর্দিন আসতে পারে। সব ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে।
বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা গণতন্ত্রের ‘গ’ও বুঝে না। এমনকি বানানও করতে পারে না, তারা এখন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে। তাদের আন্দোলন মানুষ পুড়িয়ে মারা, তারা জানে জ্বালাও-পোড়াও। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারা। নির্বাচন ঠেকাও আন্দোলন করতে গিয়ে তারা বাসে, লঞ্চে ও রেলে আগুন দিয়েছে।
সংসদ নির্বাচনের আগে রাজধানীতে ট্রেনে আগুন লাগার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা-ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ট্রেনে যেভাবে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এই দৃশ্য কোনো মানুষ সহ্য করতে পারে না। যে কারণে তারা যতই চিৎকার করুক, চেঁচামেচি করুক, তাদের কথায় কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি এবং যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে তাদের কোনো ছাড় নাই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রিটার্ন কী আসবে, তা মাথায় রাখতে হবে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য যা কল্যাণকর আমরা সেটা করে যাবো। আর এজন্য সকলের মধ্যে দৃঢ় ভাবটা থাকতে হবে। নিজের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। আত্মমর্যাদাবোধ থাকতে হবে। অনেক দেশই ভাবতে পারেনি ১৫ বছরে বাংলাদেশ এতো এগিয়ে যাবে। এখানেও অনেকেরই পরশ্রীকাতরতা আছে, তারা এসব শুনে যারা দায়িত্বে আছেন তারা কাজের ক্ষেত্রে পিছুপা হবে না।
More Stories
পুরোপুরি পুড়ে ছাই ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষ উদ্যাপনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি হওয়া দুটি প্রতীকী মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে...
‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশ নিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার ঢল
চারুকলায় নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ভাস্কর্যে আগুন দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে তা এখনো শনাক্ত করতে...
বদলে গেছে বাংলাদেশ পুলিশের লোগো
বদলে গেছে বাংলাদেশ পুলিশের লোগো। পূর্বে লোগোতে থাকা পাল তোলা নৌকা নতুন লোগোতে বাদ পড়ছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ পুলিশের...
বাংলা বর্ষবরণে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন
বাংলা বর্ষবরণে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর নতুন নাম করা হয়েছে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। এই নামে এবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠান...
দেশে এতোদিন বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
বিদেশি বিনিয়োগের জন্য দেশে আগে কখনো এত অনুকূল পরিবেশ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।...
নাসার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি, মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা
বাংলাদেশ এখন ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’র ৫৪তম স্বাক্ষরকারী দেশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ও অসামরিক মহাকাশ অনুসন্ধানকে উৎসাহিত...