বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে প্রাচীন সভ্যতার দেশ গ্রিসে বাংলাদেশের পতাকার রঙে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। বাংলাদেশ ও গ্রিসের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির সমাপ্তি স্মরণ করতে এথেন্সের ঐতিহাসিক ওমোনিয়া স্কোয়ারের পানির ফোয়ারা লাল সবুজ রঙে আলোকসজ্জা করা হয়।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গ্রিসে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। ১৬ ডিসেম্বর সকালে গ্রিসের এথেন্স দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার পর সন্ধ্যায় গ্রিক সরকারের সহযোগীতায় এথেন্সের ওমোনিয়া চত্ত্বরকে সাজানো হয় বাংলাদেশের পতাকার রঙে। পাখির চোঁখে দেখে মনে হয় এ যেন এক খণ্ড বাংলাদেশ। প্রবাসের বুকে এমন আয়োজন উপভোগ করে উচ্ছ্বাসিত বাংলাদেশিরা। লাল সবুজের পতাকার আদলে আলোকসজ্জা দেখে আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
গ্রিসে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সিংহভাগই বসবাস করেন ওমোনিয়া শহরে। তাই বাংলাদেশের পতাকার রঙে ঐতিহাসিক ওমোনিয়া স্কোয়ারকে আলোকসজ্জা করা হয়। শহরের এই প্রাণ কেদ্রের ফোয়ারার বুকে ফুটে উঠে লাল সবুজের পতাকা। যা দেখতে জড়ো হন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনেকেই দেশের বিজয় দিবস অনূভব করেন। দূতাবাস ও গ্রিক সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান কমিউনিটি নেতারা। ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত এ আলোকসজ্জা প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সকালে গ্রিসের এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। এ সময় গ্রিসে বসবাসকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও গীতা থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাৎবরণকারী সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেহ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের শহিদসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বিশেষ আলোচনা পর্বে অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
More Stories
বিজয়ের ৫৫ বছরে লস এঞ্জেলেসে কমিউনিটির প্রাপ্তি
- কাজী মশরুল হুদা বিজয়ের ৫৫ বছর হতে চলেছে। প্রায় ২ কোটির মত প্রবাসী বাংলাদেশী বিশ্বজুড়ে বসবাস করছে। যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে...
গণঅভ্যুত্থানের সময় আমিরাতে আটক ২৪ বাংলাদেশি মুক্তি পাচ্ছেন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক হওয়া আরও ২৪ বাংলাদেশি নাগরিক মুক্তি পাচ্ছেন। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর)...
থাইল্যান্ডের ই-ভিসা নিয়ে সতর্কবার্তা দূতাবাসের
বাংলাদেশের কয়েকটি এজেন্সি ২-৩ ঘণ্টায় থাই ই-ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। যা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস।...
মামদানির জয়ের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা রহিম
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি। কিন্তু তার এই ঐতিহাসিক বিজয়ের নেপথ্যে ছিলেন...
বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের ভিসা গণহারে বাতিলের ক্ষমতা চাইছে কানাডা
কানাডার সরকার বিদেশিদের গণহারে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা পাওয়ার চেষ্টা করছে। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ভারত ও...
দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে প্রত্যর্পণে কাজ করছে মালয়েশিয়া
বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম বিন আমিন নূর এবং তার সহযোগী রুহুল আমিন স্বপনের প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ নিয়ে কাজ...
