Read Time:4 Minute, 35 Second

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সরকার কাটা-ছেঁড়া করে সংবিধানকে শেষ করে দিয়েছে। তারা আবার লম্বা লম্বা কথা বলে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার বলছে, সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এর সোজা ভাষা হলো, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ চিরজীবন ক্ষমতা থেকে যাবে না।’

শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মনে করে, সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশে সর্বশেষ নিরপেক্ষ ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই এই দিবসটিতে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আবশ্যকতাকে তুলে ধরার জন্য এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকার পুলিশ দিয়ে, প্রশাসন দিয়ে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিএনপিকে দমন করে রেখে, দেশবাসীকে দমন করে রেখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা একটা ইতিহাস ভুলে গেছে পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারেনি এবং স্বৈরাচারকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আমাদের এখন একটাই কথা, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।’

বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দিতে হবে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদেরকে প্রেস ক্লাবে জায়গা দেবেন না, আমাদেরকে ফুটপাতে জায়গা দেবেন না। আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেবেন না। এটা হবে না। সব মানুষের মুখে একটাই আওয়াজ- আওয়ামী লীগ বোধহয় গেলো, বিএনপি বোধহয় আসছে। ইনশাআল্লাহ আওয়ামী লীগ যাবে, বিএনপি ইনশাআল্লাহ আসবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতন আমাদের ঘটাতেই হবে। তাদের নিপাত করতে হবে। এরা থাকলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না, আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবে না, এদেশে গণতন্ত্র থাকবে না, এদেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে না।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূঁইয়া, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজউদ্দিন আহমেদ, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, হালিমা নেওয়াজ আরলী, রেহানা আখতার রানু, শাম্মী আখতার, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আমিনুল হক, মীর নেওয়াজ আলী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, রফিকুল আলম মজনু, এস এম জাহাঙ্গীর, ইয়াসীন আলী, আরিফা সুলতানা রুমা, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না : মির্জা ফখরুল
Next post বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীদের করোনা টেস্টের ফি লাগবে না
Close