Read Time:3 Minute, 15 Second

একের পর এক গণমাধ্যমে ইন্টারভিউ দিয়ে যাচ্ছেন পালিয়ে ভারতে অবস্থান করা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমে তার কথা বলা থামাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। গত বুধবার ভারতের দূতকে ডেকে কথা বলার এ সুযোগ বন্ধ করতে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ।

কিন্তু এ পদক্ষেপে সত্যিই কি শেখ হাসিনার বক্তব্য বন্ধ হবে—এনিয়ে কূটনৈতিক মহলে উঠেছে নানান প্রশ্ন। কারণ ভারত বলছে, শেষ হাসিনাকে তারা আশ্রয় দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে কথা বলবেন বা বলবেন না সেটার নিয়ন্ত্রণ সরকার করতে পারে না। কিংবা ভারতের সরকার গণমাধ্যমও নিয়ন্ত্রণ করে না।

গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি ও নিউজ১৮ সহ ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিষয়টি মোটেই ইতিবাচকভাবে নেয়নি বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা যে নিরাপত্তাবেষ্টিত পরিবেশে আছেন, সেখানে কোনো গণমাধ্যম সরকারের অনুমতি ছাড়া যেতে পারে না। শেখ হাসিনা নজরবন্দি অবস্থায় থাকায় সরাসরি সাক্ষাৎকার দেওয়া সম্ভব নয়। তবুও ভারতের তিন শীর্ষ গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার লিখিত সাক্ষাৎকার, এই পুরো আয়োজন ভারতীয় উদ্যোগেই করা।- সাবেক রাষ্ট্রদূত এম শফিউল্লাহ

শেখ হাসিনাকে মূলধারার ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলার সুযোগ দেওয়া বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের জন্য মোটেই সহায়ক নয়- এমন যুক্তি তুলে ধরে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা।

গত বুধবার (১২ নভেম্বর) ভারতীয় উপ-হাইকমিশনার পবন ভাদেকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অবস্থান জানায়। মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক বৈঠকে ভারতীয় পক্ষকে অবহিত করেন, বিচারাধীন এক পলাতক আসামিকে প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ তার অনুরোধ তুলে ধরলেও ভারত জানিয়ে দিয়েছে—দেশটির গণমাধ্যম স্বাধীন। ফলে কে কার সাক্ষাৎকার নেবে বা প্রচার করবে, তাতে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। সাক্ষাৎকার বন্ধ করতে ভারতের পক্ষে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বিএনপি বড় দল, কিন্তু জনপ্রিয় দল নয়: ডা. তাহের
Next post গণভোটের ম্যান্ডেট প্রত্যাখ্যানকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে: আখতার
Close