জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, একটা দল আছে কী বলে ‘বাংলাদেশ চিলড্রেন্স পার্টি’, এই চিলড্রেন্স পার্টির অনেকে এখন তারেক রহমান সম্পর্কে কথা বলেন, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কথা বলেন। আরে ভাই তোমাদের দাদাও তো জিয়াউর রহমানকে চেনে, কী সব কথা বলে এরা। এখন এসব লোকের কথাবার্তা শুনে আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড ও সারা দেশে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর বিচারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ কর্মসূচি করে।
সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপি একটি জনপ্রিয় দল, এই দলকে দেশের জনগণ ভালোবাসে। এই দলকে সহজে জনগণের মন থেকে উঠিয়ে ফেলা যাবে না, যত ষড়যন্ত্রই করেন।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, একটি কথা না বললেই নয়, এক লোকের এক দ আমি নামটা তার বলতে চাই না। ওই লোকটি এবং তার দল (ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ) যারা বলছে, স্লোগান দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ গেছে যেই পথে বিএনপি যাবে সেই পথে। আরে ব্যাটা এত সহজ না কি এটা এতোই সহজ! আমাদের কোথাও যাওয়ার রাস্তা নেই। এই বাংলাদেশ আমাদের স্থায়ী ঠিকানা। এই লোকটি এবং তার দলবল বিএনপিকে এখন সহ্য করতে পারছে না, কিন্তু আওয়ামী লীগকে ঠিক সহ্য করতেন।
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে যখন হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের ওপরে হামলা করা হয়েছিল এই চরমোনাইয়ের পীর সাহেব কোথায় ছিলেন? উনি কি মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন? দাঁড়াননি। কে দাঁড়িয়েছে? বিএনপি দাঁড়িয়েছে?’
জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আরেকটি দল লম্বা লম্বা কথা ছাড়া, সুকৌশলে চাঁদা নেওয়া ছাড়া, সুকৌশলে হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ নেই। টাকা নিয়েছে বসুন্ধরার কাছ থেকে, সিটি গ্রুপের কাছ থেকে, আরও কোন কোন গ্রুপের কাছ থেকে টাকা খায় আমাদের জানা আছে, সব কিছুর হিসাব হবে।
গায়ের জোরে কথা বলেন। নিজের পায়ে জোর নেই। এরশাদের সময়ে এরশাদের কাঁধে ভর করেন, আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করেন, বিএনপির সময়ে বিএনপির কাঁধে ভর করেন, লম্বা লম্বা কথা বলেন। এখন বিএনপি ওদের একমাত্র মাথা ব্যথা, বিএনপিকে যদি শেষ করে দেওয়া যায় তাহলে উনারা রাজত্ব করতে পারবেন। তারা তারেক রহমানকে সহ্য করতে পারছেন না। কোনো লাভ নেই, তারেক রহমান তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হকও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ নেতারা ছিলেন।
More Stories
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল অনুরোধ পূরণ করছে সরকার: প্রেস সচিব
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত তার পরিবারের সকল অনুরোধ অন্তর্বর্তী সরকার পূরণ করছে বলে জানিয়েছেন...
জুলাই আন্দোলনে নিহত ১৮২ মরদেহ উত্তোলন শুরু রোববার
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা অজ্ঞাত ১৮২ শহীদের মরদেহ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে রোবিবার (৭ ডিসেম্বর)।...
ভারতে হাসিনার অবস্থান নিয়ে জয়শঙ্কর বললেন— সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লিতে অবস্থান করা নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী...
কেউ যেন আমাদের ওপর কোনো দাদাগিরি করতে না আসে: ডা. শফিকুর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা ভয় করি শুধু আল্লাহ তায়ালাকে। বাকি যাদের কথা বলেন, তাদেরকে আমরা...
পারস্পরিক বোঝাপড়ায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে যাবে: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয়...
ছাত্রশক্তির নেত্রী জেদনীকে বিয়ে করলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বিয়ে করেছেন জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী...
