Read Time:4 Minute, 21 Second

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

রবিবার (২৯ জুন) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ৭ম দিনের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকীতে সবাই মিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। আমরা খানিকটা শঙ্কিত যে, সে জায়গায় আমরা যাব না।”

তিনি আরো বলেন, ‘‘গত জুলাইয়ে আমরা যে ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের মধ্যে ছিলাম তা আমাদের সকলের মনে আছে৷ আরেকটা জুলাই এসেছে৷ গত জুলাইয়ে আমরা কেউ নিজ দলের পতাকা তুলে ধরিনি, বরং সবাই দেশের পতাকা তুলে ধরেছিলাম। আমরা সবাই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেতে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।’’

‘‘প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোই জনগণের এক বিরাট অংশের প্রতিনিধিত্ব করে৷ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবের মধ্য দিয়েই ৭০ অনুচ্ছেদ, এনসিসি, উচ্চকক্ষ গঠনের প্রক্রিয়াসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশন নমনীয় হয়েছে৷ ঐকমত্য কমিশন অবশ্যই রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষ নয়৷ আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আন্তরিক থাকতে চাই।’’

দেশের স্বার্থে সংস্কার আলোচনার অগ্রগতি প্রয়োজন উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা কেউ পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না৷ তাই দেশের স্বার্থে আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করুন৷ যে অঙ্গীকার নিয়ে আমরা গত জুলাইয়ে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তার কতটা অর্জিত হয়েছে? আমরা কি শুধু নিজের ও দলের স্বার্থ চাইব, নাকি দেশের স্বার্থও দেখব?’’

ভবিষ্যতে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে কেউ যাতে সংবিধান সংশোধন করতে না পারে, তা নিশ্চিতের উপর গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘‘সাংবিধানিকভাবেই এটা নিশ্চিত করতে হবে। সাংবিধানিক রক্ষাকবচগুলো তৈরি করতে হবে৷ স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত।’’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ২৯টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি এবং উচ্চ কক্ষের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়৷

কমিশন আগামী ২ জুলাই পরবর্তী আলোচনার দিন ধার্য করেছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ৫ আগস্ট ‘গণ-অভ্যুত্থান দিবস’, ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল
Next post সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার
Close