Read Time:3 Minute, 15 Second

গণফোরাম সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোস্তফা মোহসীন মন্টু (৮০) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার বিকেল ৫টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি তিন মেয়ে, এক ভাই ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

রোববার রাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দ্বিতীয় জানাজা জন্মস্থান কেরানীগঞ্জের নেকরোজবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরদেহ রাখা হবে। বিকেল ৪টায় বনানী কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে।

তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরপর হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা একজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাকে হারালাম। তাঁর চলে যাওয়াতে জাতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। নীতির সঙ্গে মিল না হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নীতির প্রশ্নে তিনি কোনো আপস করেননি।

গণফোরামের তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু জানান, মন্টু প্রায় দুই মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। হাসপাতালে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন। ঈদের আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

মন্টুর জন্ম ১৯৪৫ সালে। সত্তরের দশক থেকে রাজনীতিতে সক্রিয়। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত এ নেতা ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান। ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বাদ পড়েন। ২০০৯ সালে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হন।

মন্টুর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু প্রমুখ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post প্রথমবার ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটি
Next post বিতর্কিত ৩ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
Close