Read Time:2 Minute, 17 Second

সন্ত্রাসবাদ, মাদকপাচার ও সংঘটিত অপরাধ দমনে ২০০৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) গঠিত হয়। প্রথমদিকে র‌্যাব অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও অল্প সময়েই এটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতীক হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে র‌্যাব সরাসরি গুম, হেফাজতে নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ে।

গুম সংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার (৪ জুন) প্রধান উপদেষ্টা ড, মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দ্বিতীয় ধাপের প্রতিবেদন জমা দেয় গুম কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রতিবেদনের দুটি অধ্যায় প্রকাশ করে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে র‌্যাবের বিস্তারিত ভূমিকা তুলে ধরে বলা হয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহু ব্যক্তি র‌্যাব কর্তৃক আটক হওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছেন বা মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এতে আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি র‌্যাবের দায়বদ্ধতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নিষেধাজ্ঞা
র‌্যাবকে সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী হিসেবে গঠনের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা ছিল, কিন্তু পরবর্তী সময় এটি একটি রাজনৈতিক মৃত্যুদল হিসেবে অভিযুক্ত হয়। বাহিনীটি উল্লেখযোগ্য স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে পরিচালিত হতো, যা দৃঢ় পর্যবেক্ষণহীনতার ফলে ব্যাপক অপব্যবহার ঘটায়।

 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post অসংলগ্ন বক্তব্যের দায়ে বুলু ও দুদুকে বিএনপির সতর্কীকরণ নোটিশ 
Next post হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
Close