Read Time:4 Minute, 16 Second

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের সময় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিশোধ আঘাত হানা জাতীয় সংকল্প। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের সক্ষমতার ওপর আমার ‘পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ আছে। কবে, কখন কোন সময় আঘাত হানতে হবে সে ব্যাপারে আপনাদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।’

এই বৈঠকের পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির আদর্শিক পরামর্শদাতা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটি সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা।

উল্লেখ্য, পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছিল। পেহেলগাম হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈয়বার একটি ছদ্মবেশী সংগঠন—দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্রথম দফায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, শুধু পাক হিন্দু ও দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারীরা এর আওতার বাইরে রেখেছে। এছাড়া দেশটির মেডিকেল ভিসাও বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে গত ২৭ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ইস্যু করা সমস্ত ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

এ ছাড়াও, ভারত সিন্ধু পনি চুক্তি স্থগিত করেছে, যা পাকিস্তানের পানি সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। পাকিস্তান এই পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে অভিহিত করেছে এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রত্যাহার ও ভারতীয়দের বহিষ্কার করেছে।

এই পরিস্থিতিতে একজন শীর্ষ পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ আগামী কয়েক দিনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বাংলাদেশ এখন আইএমএফের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
Next post খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত করা হচ্ছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
Close