Read Time:4 Minute, 8 Second

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেই ছাড়ব’ এ শপথ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় মৃত্যু আবুল কাশেমের জানাজায় এ শপথ করেন তিনি।

এর আগে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুরের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হন আবুল কাশেম। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে আজ বিকেল ৩টায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ১৬ নম্বর বেডে মারা যান আবুল কাশেম।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য আপনাদের আর কী কী প্রয়োজন। দীর্ঘ ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে মানুষের অধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে। গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, নির্বিচারে মানুষ হত্যা এগুলোই আওয়ামী লীগের ক্যালেন্ডার। আপনারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনগত প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন। কাসেমের লাশকে সামনে রেখে শপথ করছি, কাসেমের রক্তের দায় আমাদের। আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেই ছাড়ব।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘ছয় মাস পরেও আমাদের জুলাই বিপ্লবের সৈনিকদের আওয়ামী লীগের দোসরদের হাতে নিহত হতে হয়। আমাদের গণতন্ত্রকামী, ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের এটি হচ্ছে আমাদের কানেকটিভ ফেইলিউর। আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী যেসব রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, এটি আমাদের কানেকটিভ ফেইলিউর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা এতদিন পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি। আমরা দেখছি, ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ অপরাধের বৈধতা উৎপাদন করেছে।’’

‘‘আমরা স্পষ্ট করতে চাই, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে আমাদের সার্বভৌম ও স্বাধীনতা বিকিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ তার ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছে। ৫ আগস্টের পরে এই ভূখণ্ড আমরা বাংলাদেশিদের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। এই ভূখণ্ডের মধ্যে হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, না হয় আমরা থাকবো’’ বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালায় একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে ওইদিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আহতদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে বিকেল ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ১৬ নম্বর বেডে মারা যান আবুল কাশেম।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় তৈরি হতো আন্দোলন দমনের নীল নকশা
Next post দুবাই সামিটে ড. ইউনূস: যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন, ডিসেম্বরেও হতে পারে
Close