Read Time:4 Minute, 45 Second

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার আমরা কারা? এ বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। এটা আরেকটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে প্রয়াত সাবিহ উদ্দিন আহমেদে দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভায় যোগ দিয়ে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি। অযথা নানা ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। যেটা কোনো ইস্যুই নয়, সে ইস্যু সামনে এনে নতুন করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জাতীয় পার্টি ইস্যুতে। দেশে একটা অনিশ্চয়তা আবার শুরু করার জন্য এ ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। যেটা কোনো ইস্যু না, সেটাকে ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। আমি মনে করি এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সচেতন হওয়া দরকার।

এর আগে, রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারের কনফারেন্স হলে প্রয়াত কূটনীতিক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল। স্মরণ সভায় উপস্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, সালাহ্উদ্দিন সাহেবও এক সময় ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সভাপতি ছিলেন। আমরা চেষ্টা করেছিলাম, ধারণা গভীর ছিল, সমাজটাকে পরিবর্তন করব, বদলে দেব। পরবর্তী সরকারি চাকরিতে চলে যাওয়ায় আর সম্ভব হয়নি। সরকারি চাকরিতে গিয়ে সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করেছেন সবাই।

একজন দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী আদর্শের মানুষ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত প্রয়াত সাবিহউদ্দিন আহমেদ দেশের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা স্মরণে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের জন্য, দেশের গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন কাজ করেছেন সাবিহউদ্দিন আহমেদ। ক্রীড়া অন্তপ্রাণ মানুষ সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন অফুরান প্রাণশক্তি সম্পন্ন। সব সময় একসাথেই থাকতাম। চড়াই উৎরাই সময় পার করেছি অনেক। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখে যেতে পারলে খুশি হতেন তিনি।’

শেখ হাসিনার শাসনামলে সরকারের রোষানল ও নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওই সময়ে তার ওপরে প্রচণ্ড আক্রমণও হয়েছিল। রিয়াজ রহমানের গুলি লেগেছিল, সাবিহ উদ্দিন আহমেদের গাড়িটা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল, আরেকজনের ওপরও আক্রমণ হয়েছিল। এই সময়গুলো আমরা পার করেছি। বহুবারই বিভিন্ন গ্রেপ্তার হওয়ার মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে, ভিকটিম হওয়ার কথা ছিল কিন্তু হয়নি। তার চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য কষ্টকর। আমরা যারা একসঙ্গে ছিলাম তাদের কাছে এটা বেদনার। সাবিহর ছবিটা এখানে দেখে আঁতকে উঠলাম।’

স্মরণ সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক শফিক রেহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ দীর্ঘদিনের সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা
Next post সেন্টমার্টিন লিজ দেয়ার বিষয়ে যা জানালো প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
Close