Read Time:4 Minute, 35 Second

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের কাজ শুরু করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেক দফা বসবে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। ড. ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শফিকুল আলম বলেন, ৬টি কমিশন মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ আলোচনা করতে চাচ্ছে। আলোচনা করে ওনারা চূড়ান্ত করবেন।

তিনি আরও বলেন, গত ২০-৩০ বছরে যদি বাংলাদেশের লিডারদের এ সফর দেখেন তাহলে দেখবেন দু-তিনজন রিজিওনাল লিডারদের সঙ্গে দেখা করেছেন তারা বা দু-তিনজন ইউএন -এর সিনিয়র অফিসিয়ালদের সঙ্গে দেখা করেছেন। অফিস থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর ইউনূসের ব্যস্ত সূচি ছিল। ৫০টির মতো মিটিং ছিল। তার মধ্যে ১২টি ছিল বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। সবাই তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। সবাই বলেছেন এই সরকারকে তারা সাপোর্ট করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তারা কাজ করতে ইচ্ছুক। আমি বলব এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই পজেটিভ একটি মাইলস্টোন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, বিশ্ব নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে যে সংস্কার হচ্ছে তাকে তারা পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। টেকনিক্যাল কাজ দিয়ে লিডার পর্যায়ে আলোচনা হয় না, ফুল সমর্থন দেওয়ার পর টেকনিক্যাল লেভেলে বা সেক্রেটারি লেভেলে এসব আলোচনা হয়।

এ ছাড়া তিনি বলেন, ছয়জন কমিশনারের নাম যেহেতু ঘোষণা হয়ে গেছে, আমি বলতে পারি টেকনিক্যালি কমিশনার কাজ কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে। পলিটিক্যাল পার্টিরা তো এখানে একটি স্টেক হোল্ডার। তাদের সঙ্গে একটু আলাপ হবে এবং সেখানে তাদের মতামত চাওয়া হবে।

তা ছাড়া তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বনেতারা নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাননি। তারা জানেন যে বাংলাদেশের যে কাজগুলো হবে সময় সাপেক্ষ। নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে কমিশনার রিপোর্ট এবং পলিটিকাল কনসালটেশনের ওপর। তারপরে টাইমের বিষয়টা আসে নির্বাচন কবে হবে।

পাশাপাশি তিনি বলেন, ১৬ মাস না ১৮ মাস ১২ মাস না ছয় মাস এটা আসলে ডিসাইড করবে বাংলাদেশের জনগণ। কমিশনের রিপোর্ট, কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে পলিটিক্যাল কনসালটেশন, এবং এই কনসালটেশনের পরে বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের সোসাইটি, বাংলাদেশের সমস্ত স্টিকার যখন ডিসাইড করবে যে না আমরা এই এই বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছেছি তখন ইলেকশনের একটি সমাধান হবে। এটা কবে হবে তা এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। আর আমার মনে হয় যে সেনাপ্রধান এখানে অপিনিয়ন দিয়েছিলেন। আলোচনাটা খুব দ্রুত হবে এটুকু আমি বলতে পারি আলোচনাটা হওয়ার পরেই দেখবেন কমিশনের কাজ শুরু হচ্ছে।

এ ছাড়া ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগকে ডাকা হবে কিনা তা উপদেষ্টা পরিষদ জানাতে পারবে কারণ তারাই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান উপযুক্ত জবাব দেবে: শাহবাজ শরিফ
Next post জয়-পুতুল-ববির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
Close