Read Time:3 Minute, 13 Second

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। জাহাজে ২৩ জন নাবিক রয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা একটায় জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ। জাহাজটির চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান এবং সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। জাহাজের ক্যাপ্টেনের নাম আবদুর রশিদ।

এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিলো বাংলাদেশি জাহাজ ‘জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানা চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা। পরে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে জানান, জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজের ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন। ঘটনাটি জানার পর তারা জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।

জিম্মিদের তালিকা: মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ (মাস্টার), আতিক উল্লাহ খান (চিফ অফিসার), মোজাহিরুল ইসলাম চৌধুরী (সেকেন্ড অফিসার), তারিকুল ইসলাম (থার্ড অফিসার), সাব্বির হোসেন (ডেক ক্যাডেট), এএসএম সাইদুজ্জামান (চিফ ইঞ্জিনিয়ার), তৌফিকুল ইসলাম (সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার) মোহাম্মদ রোকনউদ্দিন (থার্ড ইঞ্জিনিয়ার), তানভীর আহমেদ (ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার), আইয়ুব খান (ইঞ্জিন ক্যাডেট), ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ (ইলেক্ট্রিশিয়ান), আনোয়ারুল হক (এবি), আসিফুর রহমান (এবি), সাজ্জাদ হোসেন (এবি), জয় মাহমুদ (ওএস), নাজমুল হক (ওএস), আইনুল হক (ওয়েলার), মোহাম্মদ সামসুদ্দিন (ওয়েলার), আলী হোসেন (ওয়েলার), মোশারফ হোসেন শাকিল (ফায়ারম্যান), শফিকুল ইসলাম (চিফ কুক), নূর উদ্দিন (জিএস), সালে আহমেদ (ফিলার)।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তৈরি ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটি গত বছর সংগ্রহ করে কেএসআরএম গ্রুপ। সাধারণ পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হয় জাহাজটি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়ায় আবারো যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
Next post মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ নিহত ৩
Close