ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সচিবালয়ে তার দপ্তরে আজ মঙ্গলবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে ডাটা নিরাপত্তা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স এবং ডাক ব্যবস্থা আধুনিকায়নে উভয় দেশ কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যসহ তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় এ দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের গড়ার রূপকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। এর সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করবে বিষয়টি আলোচনায় স্থান পায়।
তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আলোচনার মূল তিনটি উদ্দেশ্য ছিল, আমেরিকা আমাদের সফটওয়্যার ও ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড়ো গন্তব্য। ৬০ দেশে আমরা সফটওয়্যার রফতানি করি, আমেরিকায় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়। আমেরিকায় আমাদের আউটসোর্সিংয়ের ক্লায়েন্ট (গ্রাহক) অন্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি। কীভাবে এটা আরও বাড়াতে পারি, সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসোর্স ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করার বিষয়েও কথা হয়েছে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার তাতে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ‘বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সঙ্গে আমেরিকার কীভাবে জি-টু-জি সহযোগিতা হতে পারে এবং আমেরিকার যে কোম্পানিগুলো আছে, বিশেষ করে অ্যামাজন, স্টারলিং, স্পেসএক্স, গুগল ও ফেসবুকের বিনিয়োগ কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি হতে পারে, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলতে পারি, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কী ধরনের সহযোগিতা পেতে পারি এবং একসঙ্গে কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি, রফতানি ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমেরিকার প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এ খাতে আটশ’ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। আবার বাংলাদেশে এখন ওরাকল, মাইক্রোসফটসহ বেশ কিছু আইটি কোম্পানি কাজ করছে। আরও অনেক কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আকর্ষণ করতে চাই। সর্বশেষ সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।’
More Stories
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লী?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লী? প্রশ্ন তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সেখানে (বাংলাদেশ ব্যাংক) সাংবাদিকদের কেনো...
আপনি একটা চিটার টাইপের মানুষ, আ. লীগ নেতাকে নিক্সন চৌধুরী
ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজার কথোপকথনের...
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, দাবি ওবায়দুল কাদেরের
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল সদস্য হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান...
‘শরীফ থেকে শরীফার’ গল্প বাদ দেয়ার সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে আলোচিত শরীফ-শরীফা গল্প বাদ দেয়ার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। গল্পে ব্যবহৃত অন্তত...
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার...
দেশকে আরো এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প...