দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২১৪টির ফলাফল পাওয়া গেছে।
এতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ১৫৭টিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ৪৯ জন ও জাতীয় পার্টির ৮ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বাকি আসনগুলোর ফলাফল রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫১টি বা তার বেশি আসনে যে দল জয়ী হন তারাই সরকার গঠন করেন। সে হিসেবে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ১৫৭টিতে বিজয়ী হয়েছেন। ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এর আগে, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।
এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।
এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
More Stories
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির নেতারা। ঢাকায় যুক্তরাজ্য হাইকমিশনানের বাসভবনে...
যতক্ষণ দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার একটা শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাদের শক্তি নিয়েই আমি চলি। একটা আস্থা...
সীমান্ত হত্যা : ভারতের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগ
সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্ত হত্যা বন্ধে ‘প্রাণঘাতী’ নয় এমন অস্ত্র ব্যবহারের ওপর...
মার্কিন পুলিশের বর্বর আচরণ বিষয়ে বক্তব্য জানার আগ্রহ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিক্ষোভ দমনে পুলিশের বর্বর আচরণ নিয়ে দেশটির বক্তব্য জানার প্রবল আগ্রহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের। বুধবার...
ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় ভোট কম পড়েছে: সিইসি
বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান...
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতিতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়বে।...