Read Time:17 Minute, 29 Second

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কে চোখ রাঙাল আর কে চোখ বাঁকাল তা আমি পরোয়া করি না।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাসেলস সফর নিয়ে অবহিত করতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন— কোনো বিদেশি শক্তি কি আমাদের চোখ রাঙাচ্ছে, নির্বাচন কি যথাসময়ে হবে? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং সময়মতো হবে। কে চোখ রাঙাল আর কে বাঁকাল আমরা কোনো পরোয়া করি না। দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের জন্য অনেক সংগ্রাম করেই কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আর গণতন্ত্র থাকলে, নির্বাচিত সরকার থাকলে— বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে যে উন্নতি হয় এটা তো আপনারা বিশ্বাস করেন।
তিনি বলেন, মাত্র ১৪ বছরে দেশের অভূতপূর্ব যে উন্নয়ন ও পরিবর্তন হয়েছে তা দৃশ্যমান। এ উন্নয়ন যে ‍শুধু ঢাকা শহরের মেট্রোরেল বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তা নয়, উন্নয়ন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে, তৃণমূলে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যেকটি উন্নয়ন পরিকল্পনা মাফিক করেছি। তৃণমূলের যে পরিবর্তন হয়েছে তা আপনারা নিজেরা দেখে আসুন। কাজেই কে চোখ রাঙাল আর কে বাঁকাল তাদের পরোয়া করার সময় নেই।
কোন শক্তি চোখ রাঙাচ্ছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে রাঙ্গাচ্ছে এটা আপনারা বোঝেন না? আমার বলতে হবে কেন?
সংলাপ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ করব। ট্রাম্প সাহেবের সঙ্গে কি বাইডেন সংলাপ করছে? যেদিন ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেন সংলাপ করবে সেদিন আমিও সংলাপ করব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। ২০১৩-১৪ ও ১৫— এই তিনটা বছর তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের আক্রমণ চলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক বাস মালিকদের আমরা আর্থিকভাবে সহায়তা দিয়েছিলাম। যেন তারা ব্যবসা চালাতে পারে। এবারও যাদের বাস পুড়েছে তাদেরকেও সহায়তা দেওয়া হবে।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা(বিএনপি) পুলিশকে বারবার আঘাত করে। সারা দেশে ২৯ পুলিশ সদস্যকে মেরেছিল। ৫০০ এর উপর স্কুলঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল, যেখানে আমাদের নির্বাচনের পোলিং এজেন্ট হয়েছিল। এদের মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ববোধ নেই। এদের সঙ্গে আমরা যতই ভালো ব্যবহার করি না কেন, এদের স্বভাব কখনো বদলাবে না। এরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে। অবৈধ অস্ত্র হাতে এদের জন্ম, এরা নির্বাচন চায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আজ ২৩ সাল পর্যন্ত বদলে গিয়েছে বাংলাদেশ। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজ আপনাদের কাছে কেউ ভিক্ষা চাইতে আসবে না। প্রত্যেকের খাবারের ব্যবস্থা, ভূমিহীনদের জায়গার ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিক্ষার ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কেউ কাজ করলে খেতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। আন্তর্জাতিকভাবে আমি যেখানে গিয়েছি সেখানেই সবাই বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে। একমাত্র দুঃখে মরে যায় বিএনপি আর জামায়াত।’
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে ঘটা সহিংসতার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি যে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এসব ঘটনায় তা আবার প্রমাণ হয়েছে।
২৮ অক্টোবরের সহিংসতার ঘটনা নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কানাডার কোর্ট বারবার বলেছে বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী জোট, তারা (বিএনপি) আবার সেটি প্রমাণ করলো। মাঝে কিছুটা রাজনৈতিক কর্মসূচি তারা পালন করেছে। আমাদের সরকারও কোনো বাধা দেয়নি। ধীরে ধীরে আস্থা অর্জন শুরু করেছিল। তবে ২৮ তারিখের ঘটনায় ধিক্কার ছাড়া আর কিছুই তাদের জুটবে না।’
বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কীসের অবরোধ, কার জন্য অবরোধ। যখন দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, সারা বিশ্ব প্রশংসা করছে, তাদের কাজটাই হলো উন্নয়ন নস্যাৎ করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নিজেরাই পালাল, পালিয়ে গিয়ে এখন আবার অবরোধের ডাক। কীসের অবরোধ? কার জন্য অবরোধ? যখন সারা বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করছে তখন তাদের কাজ হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। বাংলাদেশের এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, দেখাবে বাংলাদেশে কিছুই হয়নি। তাদের হামলার শিকার একদিকে পুলিশ, আর হচ্ছে সাংবাদিক। এদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে। সেগুলো কারা করেছে, তাদের নাম ডাক….। তারা তো প্রকাশ্যে করেছে। শুধু তাই নয়, গতকাল তারা লালমনিরহাটে আমাদের যুবলীগের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এভাবে হত্যা করা আর মানুষের সম্পদ নষ্ট করা, আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করাই তাদের চরিত্র। হঠাৎ কেন সাংবাদিকদের ওপর তারা চড়াও হলো? সাংবাদিকরা তাদের পক্ষে ভালো ভালো নিউজ দিচ্ছিল, টকশোতে ভালো ভালো কথা, বরং সরকারের দোষটাই সাংবাদিকরা বেশি দেখে। তাহলে তাদের রাগটা কেন সাংবাদিকদের ওপর হলো? সেটাই বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপিকে খুনিদের দল আখ্যা দিয়ে দলটির সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি একরকম উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক?
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নির্বাচন নিয়ে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানানো প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কার সঙ্গে সংলাপ? বিরোধী দলের সঙ্গে। কোন বিরোধী দল? বিরোধী দলটা কে? সংসদীয় নিয়মে বিরোধী দলের একটা ব্যাখ্যা আছে। বিরোধী দল হচ্ছে, সেই দল যাদের সংসদে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। এর বাইরেরগুলো পরিগণিত হয় না। আমেরিকায়ও হয় না। ট্রাম্পকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) কী বলবে? যদিও আমরা তাদের মতো সরকার ব্যবস্থায় নেই। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমেরিকায় ট্রাম্পরে সঙ্গে কি বাইডেন সংলাপ করে? যেদিন ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেন সংলাপ করবে সেদিন আমিও সংলাপ করব।’
তিনি বলেন, ‘এই যে মানুষগুলোরে হত্যা করা হলো, তাকে (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) একটা প্রশ্ন করা হলো না কেন- যখন উপনির্বাচনে একটা ঘটনা ঘটেছে, হিরো আলমের ওপর হামলা, বিচার চাইল। এখন পুলিশ হত্যা করল, এতগুলো সাংবাদিককে মারল, তারা এটার বিচার দাবি করল না কেন?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক। খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের আলোচনা? যারা মানুষের সম্পদ নষ্ট করেছে, যারা আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নষ্ট করেছে। সে বসে বসে ডিনার খাক (মার্কিন রাষ্ট্রদূত), ডায়ালগ করুক। এটা আমাদের দেশ, আমরা স্বাধীনতা এনেছি রক্ত দিয়ে।’
ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যেভাবে হামলা করছে ২৮ অক্টোবরে ঢাকায় হওয়া হামলার সঙ্গে তার মিল খুঁজে পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি নিয়ে বিএনপি কেন কথা বলে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সরকারপ্রধান।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গাজায় যেমন ইসরায়েল হাসপাতালে হামলা করল বিএনপি একই কায়দায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে। মনে হয়, ইসরায়েল আর ওদের মধ্যে ভালো একটা সমঝোতা আছে। ঠিক একইভাবে ওখানেও শিশু-নারী হত্যা। এরাও এখানে পুলিশ হত্যা করছে। আমি কোনো তফাৎ দেখি না।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপি বা জামায়েত এরা কিন্তু এখন পর্যন্ত টু শব্দ করছে না। অথচ আমরা সবসময় কিন্তু ফিলিস্তিনের সঙ্গে আছি। তাদের জনগণের সঙ্গে সবসময় আছি। আমি আন্তর্জাতিকভাবে যেখানে যাই তাদের কথা বলি। তাদের ন্যায্য অধিকার কিন্তু ফেরত দিতে হবে, এটাই আমরা চাই।’
‘কিন্তু যারা (বিএনপি) এত কথা বলে, আবার ইসলামিভাব ধরে তারাও টু শব্দ করছে না। কাদের স্বার্থে? সেটা আমারও প্রশ্ন। বিএনপি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলছে না কেন? এই যে শিশুদের হত্যা করছে, হাসপাতালে বোমা মারছে কই তারা তো টু শব্দটাও করছে না।’
সংসদে ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিন্দা প্রস্তাব বা রেজ্যুলেশন নেওয়া হলেও সংবাদ সম্মেলনে কোনো গণমাধ্যমকর্মী সরকারকে ধন্যবাদ না দেওয়া বা এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন না তোলায় মন খারাপ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, ‘সংসদে আমরা ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিন্দা প্রস্তাব নিয়েছি। সাংবাদিকরা এটা নিয়ে কথা বলল না, ধন্যবাদ দিল না। কেন কথা বলল না জানি না, দুঃখ পেলাম।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেওয়া মিয়ান আরেফির সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তাকে ছাড়া হচ্ছে না। আমি তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছি। তার খোঁজ করা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কেন এ রকম প্রতারণা করল?
মিয়ান আরেফি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন ফ্রড, ভুয়া সে এসে তাদের (বিএনপির) অফিসে বসে সাফাই গাইল। আর যখন ধরা পড়ল তখন বলল, জানে না। আসলে তাদের (বিএনপির) নেতাই নেই। দলটার সমস্যাটাই এটা। নেতৃত্ব নেই, আছে কিছু মাইকবাজ। সারাদিন মুখে মাইক লাগিয়ে কথা বলে। সেটাও এখন আবার আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে গেছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে সেই সুবিধা নিয়ে কথা বলছে।
২৮ অক্টোবর বা পরবর্তীতে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কিছু অপরাধী জামিন পেয়ে ছুটে এসেছে। জামিন পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেহেতু এরা জামিন পেয়ে গেছে, এরা অপরাধ করছে। এদের দ্রুত সাজা দিয়ে শিক্ষা দেওয়া উচিত। এভাবে আগুন লাগাবে আর মানুষের ক্ষতি করবে এটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। যারা এভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে যাচ্ছে, তাদের সাজাটা যেন ঠিকমতো হয়; সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সেই হাতে শাস্তি দিলে তাহলে তারা কষ্ট বুঝতে পারবে।
এ সময় দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, দেশবাসীকে সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। যারা এসব অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ধরিয়ে দিন। এর আগে তারা যখন শুরু করেছে তখনও মানুষ ঠেকিয়েছে। এবারও মানুষই ঠেকাবে।
২৮ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে ঢাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনা সরকারের পক্ষে গেল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাভ-লোকসানের ব্যাপার নয়। মানুষকে হত্যা করছে, মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে। বরং আমাদের লাভ-লোকসান কী হলো তা জিজ্ঞেস না করে বিএনপিকে জিজ্ঞেস করা দরকার তারা যে গুন্ডামি-সন্ত্রাসী, অগ্নিসন্ত্রাস করে যাচ্ছে তাতে তারা কতটুকু লাভবান হচ্ছে। এটা আপনারা বরং বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করেন।

প্রসঙ্গত, গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশ নিতে গত ২৪ অক্টোবর বেলজিয়ামে যান প্রধানমন্ত্রী। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর ওই ফোরামে যোগ দেন তিনি। ফোরামের ফাঁকে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্র ও লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

২৫ অক্টোবর ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এসব বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫ কোটি ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা, সাড়ে ৪ কোটি ইউরোর একটি অনুদান এবং একই খাতে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ ইউরোর অনুদান চুক্তি সই হয়।

এছাড়া সামাজিক খাতের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে ৭ কোটি ইউরোর আরও পাঁচটি অনুদান চুক্তি হয়।

২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরে আসেন তিনি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post কে এই ‘বিতর্কিত’ চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
Next post যেদিন ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেন সংলাপ করবেন, সেদিন আমি করব: প্রধানমন্ত্রী
Close