Read Time:3 Minute, 43 Second

দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে আগামী সাধারণ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোনো লুটেরা যাতে দেশকে ধ্বংস করার জন্য আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশের জনগণকে সজাগ থাকতে হবে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে নৌকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি আমরা আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই। দেশের উন্নয়নের অদম্য গতি যাতে কোনক্রমেই ব্যাহত না হয়, সেজন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।

তিনি বলেন, দেশকে লুটেরাদের হাতে ছেড়ে দেবেন না, অন্যথায় দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত করুন যে, দেশের উন্নয়নের যাত্রা কোনো বাধা বিপত্তি ছাড়াই অব্যাহত থাকবে। দেশবাসী নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের স্বাধীনতা পেয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়েছে অথচ বিএনপিকে ভোট দিয়ে লুটপাট, দুর্নীতি ও হত্যা করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি, তাদের দুঃসময়ে পাশে থাকি এবং তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছি। উল্টো বিএনপি-জামায়াত জোট মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করছে, টাকা কামাচ্ছে। দুর্নীতি, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান, অর্থপাচার, লুটপাট ও সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে কিছু টাকা ফেরত এনেছে যা খালেদা জিয়ার দুই ছেলে চুরি করে বিদেশে পাচার করেছিল এবং অবশিষ্ট টাকাও জব্দ করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, এবার বাড়াবাড়ি করলে দেশের মানুষ তাদের রেহাই দেবে না। বিএনপি-জামায়াত চক্র ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত অগ্নি-সন্ত্রাস চালিয়ে ৫০০ জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। জনগণের প্রতিবাদের মুখে তারা অগ্নি-সন্ত্রাস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাতের কারণে খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে, তার ছেলে তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং তারেকের স্ত্রী দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। দণ্ডপ্রাপ্তরা বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং তাদের সামনে রেখে রাজনীতি করছেন। জনগণ তাদের ভোট দেবে না। জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার জন্য ভোট দেবে না। জনগণ অগ্নি-সন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় আনবে না।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি : রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া অনিরাপদ
Next post শরণার্থী আবেদন: যুক্তরাজ্যে ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পঞ্চমে বাংলাদেশ
Close