Read Time:2 Minute, 56 Second

ওয়াগনার বাহিনী রাশিয়ার ক্ষমতাসীন ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে একরকম বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। ফলে মস্কোসহ বিভিন্ন এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুতিন প্রশাসন। অনেক পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবরে রাশিয়ার গৃহযুদ্ধে বেঁধে যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ওয়াগনারের বিদ্রোহ নিয়ে এরইমধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ওয়াগনার বিদ্রোহ রাশিয়ার দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। এই অবস্থার জন্য তিনি পুতিনের জোরালো সমালোচনাও করেছেন। তার দাবি, ওয়াগনার রাশিয়াকে বেশ ভোগাবে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরও দাবি, রাশিয়াকে যতোটা শক্তিশালী ভাবা হয় দেশটি আদতে ততোটা ক্ষমতাধর নয়।

ইউক্রেনের অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, মিত্রদের সাথে মিলে পরিস্থির বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ওয়াশিংটন।

ইউক্রেনের আরেক মিত্র যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সাধারণ মানুষের স্বার্থে সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিশেল টুইটে বলেছে, তারাও রাশিয়ার পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন। তার মতে পরিষ্কারভাবেই এটা রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়। সাথে জানিয়েছেন, তারা সব সময় ইউক্রেনের পক্ষে আছেন।

ফ্রান্স ও জার্মানিও পরিস্থিতির প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার কথা জানিয়েছে। আর ইতালির প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখা যে কীভাবে ইউক্রেনে চালানো আগ্রাসন রাশিয়াকে অস্থির করে তুলেছে। তিনি মনে করছেন, এটা রাশিয়ার কর্মফল।
সূত্র: আল জাজিরা

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের: প্রধানমন্ত্রী সত্য উদ্ঘাটন করেছেন, কাউকে ভয় পান না
Next post রাশিয়ার দুর্বলতা স্পষ্ট: জেলেনস্কি
Close