‘১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে। আজ সেই কালো দিন। বর্তমানেও তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছে। তারা দেশকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যতই বলুক তারা গণতান্ত্রিক দল, মুক্তিযুদ্ধের দল, আসলে এটা মিথ্যা। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে।’
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবি’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো তারা ভেঙে ফেলেছে। সেসময় সবাই বাকশালের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু দুঃঃখের বিষয়, আ.লীগ ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস সন্ত্রাসের ইতিহাস উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও রাজপথে দাঁড়িয়ে ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার জন্য আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। এ সরকার সব ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই তারা মানুষের আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা ভিন্নমত ও ভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। মামলা দিচ্ছে, জেলে ভরছে। আমরা অচিরেই আন্দোলনের মাধ্যমে সব নেতাকর্মীকে মুক্ত করবো। দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য রাজপথে আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। আন্দোলনের তোরে এ সরকার পালানোর পথও খুঁজে পাবে না।
নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে সমাবেশের জন্য পিকাপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। নেতাকর্মীদের বসার জন্য সড়কে বিছানো হয় ক্যার্পেট। ফলে, নয়াপল্টন এলাকার ভিআইপি সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় দুপুর থেকেই। অন্যপাশের সড়কেও সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা অবস্থান নেওয়ায় যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
অপরদিকে, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সর্তক অবস্থান নিয়েছে পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি নয়াপল্টন থানার উল্টোপাশে চায়না টাউনের সামনে এবং কাকরাইল স্কাউট ভবনের সামনে পুলিশের প্রিজন ভ্যান এবং জলকামান দেখা গেছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে ওলামা দলের নেতা মাওলানা মুজিবুল হকের কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ড. মঈন খান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মির্জা আব্বাস, বেগম সেলিমা রহমান, আমান উল্লাহ আমান, আজিজুল বারী হেলাল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ইশরাক হোসেনসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।
More Stories
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল অনুরোধ পূরণ করছে সরকার: প্রেস সচিব
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত তার পরিবারের সকল অনুরোধ অন্তর্বর্তী সরকার পূরণ করছে বলে জানিয়েছেন...
জুলাই আন্দোলনে নিহত ১৮২ মরদেহ উত্তোলন শুরু রোববার
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা অজ্ঞাত ১৮২ শহীদের মরদেহ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে রোবিবার (৭ ডিসেম্বর)।...
ভারতে হাসিনার অবস্থান নিয়ে জয়শঙ্কর বললেন— সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লিতে অবস্থান করা নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী...
কেউ যেন আমাদের ওপর কোনো দাদাগিরি করতে না আসে: ডা. শফিকুর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা ভয় করি শুধু আল্লাহ তায়ালাকে। বাকি যাদের কথা বলেন, তাদেরকে আমরা...
পারস্পরিক বোঝাপড়ায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে যাবে: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয়...
ছাত্রশক্তির নেত্রী জেদনীকে বিয়ে করলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বিয়ে করেছেন জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী...
