আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিক্ষোভ সমাবেশের নামে আাগামী ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি গন্ডগোল পাকানোর উস্কানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘২৪ তারিখ আমাদের জাতীয় সম্মেলন, সেদিন কেন প্রোগ্রাম দিয়েছে তারা? সেদিন কেন তাদের কর্মসূচি আমি জানতে চাই। প্রত্যাহার করুন। সংঘাতের উসকানি দেবেন না।’
ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বিকালে পুরোনো বাণিজ্যমেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত জোটের নৈরাজ্যমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে আজ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যমেলা মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ট্রাকমঞ্চ করে নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি ১০ তারিখে ব্যর্থ হয়ে এখন ২৪ তারিখে গন্ডগোল করার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই মাস আগে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। একই দিকে এই বিএনপির কর্মসূচির অর্থ সংঘাতের উসকানি দেওয়া। বিএনপি ১০ তারিখে ব্যর্থ হয়ে এখন ২৪ তারিখে গন্ডগোল করার ষড়যন্ত্র করছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা সতর্ক থাকবেন। বিএনপি জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বুঝে না। অনেক ছাড় দিয়েছি, এবার ছেড়ে দেবো না। প্রস্তুত হয়ে যান, এবার ছেড়ে দেবেন না। এরা ক্ষমতা ফিরে পেতে পাগল হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখনও আমদানি করার জন্য পাঁচ মাসের রিজার্ভ শেখ হাসিনার কাছে। রপ্তানি আয় বাড়ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাকালীন আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বর্তমানে বিশ্ব সংকটেও আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই। এখন বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। পাড়া মহল্লায় কেউ বিএনপি বলে পরিচয় দেয় না। কারণ তারা জানে, বিএনপির কথায় কাজে মিল নেই। বিএনপি নেতাদের কোনো খবর নেই, কর্মীদের মনে বল নেই। বিএনপি এখন নদীতে পড়ে গেছে, সেখান থেকে উঠে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য একদিনও বিশ্বকাপের খেলা দেখতে কারও সমস্যা হয়নি। কেউ বলতে পারবে না এমনটা হয়েছে।
এর আগে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের আওতাভুক্ত বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে মিছিল সহকারে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তারা বিএনপি-জামায়াত বিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
More Stories
দায়িত্ব নেওয়ার সময় নির্বাচন দেওয়ার কোনো শর্ত ছিল না : সাখাওয়াত হোসেন
দেশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না, তা নির্বাচন কমিশনই বলতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার...
জামায়াত ধর্মকে ব্যবহার করে বিভাজন ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে : এনসিপি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভাজন, ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক...
আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া, আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনের হাসপাতালে নিতে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স মঙ্গলবার সকাল ৮টায় হযরত...
‘আমি ভালো আর সব খারাপ’— আওয়ামী আমলের এই প্রচার এখনো চলছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমি ভালো আর সব খারাপ। এ রকম একটি বিষয় আমরা দেখেছি ১৬ বছর ধরে।...
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল অনুরোধ পূরণ করছে সরকার: প্রেস সচিব
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত তার পরিবারের সকল অনুরোধ অন্তর্বর্তী সরকার পূরণ করছে বলে জানিয়েছেন...
জুলাই আন্দোলনে নিহত ১৮২ মরদেহ উত্তোলন শুরু রোববার
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা অজ্ঞাত ১৮২ শহীদের মরদেহ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে রোবিবার (৭ ডিসেম্বর)।...
