বাংলাদেশে পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং সবুজায়নে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১০৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় জানিয়েছে, ১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এ ঋণ অনুমোদন দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে এ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। রেয়াতযোগ্য এই অর্থ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট) প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তরকে তার প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক ক্ষমতা জোরদার করতে সহায়তা করবে। দূষণ রোধ এবং পরিবেশগত মান উন্নয়নে প্রকল্পটি সহায়তা করবে।
প্রকল্পটি লক্ষ্য অনুযায়ী সবুজায়নে বিনিয়োগ উন্নীত করতে বিকল্প অর্থায়ন খুঁজতে পাইলটিং করবে। এটি বায়ুদূষণ কমাতে সবুজ বিনিয়োগকে সমর্থন করার পাশাপাশি আর্থিক খাতকে উৎসাহিত করতে একটি গ্রিন ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমও প্রতিষ্ঠা করবে। প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশকে দূষণ সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করবে। এর ফলে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বসবাসকারী ২১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেন বলেছেন, পরিবেশদূষণ শুধু যে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে তা নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার ক্ষমতাও নষ্ট করছে। বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক দীর্ঘদিনের অংশীদার। এই প্রকল্পটি দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে দেশের পরিবেশ সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি বার্ষিক প্রায় ৪৬ হাজার যানবাহন পরিদর্শনের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের পদ্ধতি ব্যবহার করে চারটি যানবাহন পরিদর্শনকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করবে। বার্ষিক ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ই-বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্য একটি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধা স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি লক্ষ্যযুক্ত উৎস থেকে ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ কমাতে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং টাস্ক টিমের নেতা জিয়াং রু বলেছেন, পত্রপত্রিকায় আমরা নিয়মিত ঢাকার উচ্চ মাত্রার বায়ুদূষণের প্রতিবেদন দেখি। বিশ্বব্যাংকের অনুমান, ২০১৯ সালে বায়ুদূষণ এবং সিসার এক্সপোজার বাংলাদেশে মৃত্যুর এক-পঞ্চমাংশেরও বেশির জন্য দায়ী। পরিবেশগত বিধিবিধান এবং কঠোর পরিবেশগত প্রয়োগ বেসরকারি খাতকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং সবুজায়নে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে। এভাবে দেশকে ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য শতাংশ গ্যাস নির্গমণের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
More Stories
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল অনুরোধ পূরণ করছে সরকার: প্রেস সচিব
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত তার পরিবারের সকল অনুরোধ অন্তর্বর্তী সরকার পূরণ করছে বলে জানিয়েছেন...
জুলাই আন্দোলনে নিহত ১৮২ মরদেহ উত্তোলন শুরু রোববার
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা অজ্ঞাত ১৮২ শহীদের মরদেহ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে রোবিবার (৭ ডিসেম্বর)।...
ভারতে হাসিনার অবস্থান নিয়ে জয়শঙ্কর বললেন— সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লিতে অবস্থান করা নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী...
কেউ যেন আমাদের ওপর কোনো দাদাগিরি করতে না আসে: ডা. শফিকুর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা ভয় করি শুধু আল্লাহ তায়ালাকে। বাকি যাদের কথা বলেন, তাদেরকে আমরা...
পারস্পরিক বোঝাপড়ায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে যাবে: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয়...
ছাত্রশক্তির নেত্রী জেদনীকে বিয়ে করলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বিয়ে করেছেন জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী...
