Read Time:4 Minute, 55 Second

ইতালি যাওয়ার সুবিধা পাবে ৩০০০ বাংলাদেশি
ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইতালির সরকার একটি চুক্তির ওপর কাজ করছে। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাজের জন্য ইতালি যেতে পারবেন। বাংলাদেশের জন্য তিন হাজার মানুষের কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। এ সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। চুক্তির ফলে ছাত্র, গবেষক ও বিনিয়োগকারীরা ইতালি যাতায়াত করতে পারবেন।

মানবপাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শুক্রবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটরিয়ামে এক মতবিনিময়ে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইতালির রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, গত ৩০ জুন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই চুক্তির ওপর প্রথম আলোচনায় বসে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে কেউ যেন ইতালি পারি না জমান। যারা বর্তমানে বৈধ পথে ইতালি যান তাদেরকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করছি।

মতবিনিময়ে সভায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, অবৈধ পথে যারা বিদেশে গমন করে তাদেরকে সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা করা যায় না। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় হয়রানি হয়ে থাকে। বিশেষ করে তারা যখন অবৈধ পথে লিবিয়া থেকে নৌকা বা ট্রলারযোগে ইতালি প্রবেশের চেষ্টা করে, তখন সমুদ্রে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তাদের পরিবারগুলো শেষ হয়ে যায়।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা সবসময় অবৈধ পথে বিদেশ গমনকারীদের বিভিন্নভাবে প্রতারণা ও হয়রানির শিকারের মামলা দেখতে পাই। অনেক সময় তাদের তথ্যপ্রমাণ না থাকার কারণে আমরা অপরাধীদেরকে ঠিকমতো ধরতে পারি না। তারপরও আইনের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করি তাদেরকে ধরার জন্য।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে বিদেশ না গিয়ে ওই টাকা দিয়ে দেশেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে অর্থ উপার্জন করা যায়। বেশি অর্থের আশায় আমরা অবৈধ পথে বিদেশ গিয়ে আর লাশ হতে চাই না। আপনাদের এলাকার চিহ্নিত দালালদের সম্পর্কে আপনার পাশের প্রশাসনকে তথ্য দিন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

অবৈধ পথে প্রবাসে যাওয়া নড়িয়ার কামাল মুন্সী নামে নিখোঁজ এক যুবকের মা নাসিমা বেগম বলেন, আমার ছেলে তিন বছর আগে দালালদের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার জন্য লিবিয়া যায়। আমার ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছে ২০২২ সালের ২৯ জুন। দালাল চক্র আমার ছেলেকে উদ্ধারের কথা বলে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে শুনেছি আমার ছেলে মারা গেছে। আপনাদের মাধ্যমে আমার ছেলের লাশ ফেরত চাই।

জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) আখতার হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান প্রমুখ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post গ্রিসে বৈধতা পাচ্ছেন ১৫ হাজার বাংলাদেশি
Next post রোহিঙ্গা নির্যাতন: মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ আন্তর্জাতিক আদালতে
Close