বিশ্বের বাণিজ্যিক রাজধানী বলে খ্যাত নিউইয়র্ক শহরের একটি রাস্তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘লিটল বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ’। তবে জ্যামাইকায় অবস্থিত এই রাস্তার আগের নাম ‘হোমলন স্ট্রিট’ও বহাল থাকবে।
স্থানীয় সময় ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিনের শেষের দিকে এই নতুন নামকরণের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সবুজ রঙের স্টিল প্লেটে সাদা রঙে লেখা রয়েছে ‘লিটল বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ’, যা বাংলাদেশের নতুন গৌরব।
দেশটির সরকারি বন্ধ ছিল সেদিন প্রেসিডেন্ট ডে-এর কারণে। অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি ও আমেরিকান নাগরিক পতাকা আর ফুল নিয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সেখানকার সড়কদ্বীপে স্থাপন করা হয়েছিল অস্থায়ী শহীদ মিনার। বাজানো হয়েছে বাংলা জাগরণের জনপ্রিয় গানগুলো। আবেগের বশবর্তী হয়ে সাধারণ মানুষ তখন মুক্তিযুদ্ধের জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন।
সাউথ এশিয়ান আমেরিকান ভয়েস নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ তুহিন প্রস্তাবটি রাখলে ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ২৪ এর কাউন্সিলম্যান জেমস এফ জিনারো তা সিটি কাউন্সিলে উত্থাপন করেন। পরে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রস্তাবটি পাস হয়।
প্রস্তাবক বলেন, আমি এই কাজের জন্য কোনো কৃতিত্ব নিতে চাই না। আমরা সবাই মিলে এটা করেছি। অবশেষে একটা কাজ হয়েছে এতেই আমি খুশি। আজ আমাদের আনন্দের দিন।
সোমবার দুপুরের পর সেখানে আসেন কাউন্সিলম্যান জেমস এফ জিনারো। আরও আসেন স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান ডেভিড উইপ্রেন, নিউইয়র্কে নির্বাচিত প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান বংশোদ্ভূত স্টেট অ্যাসেম্বলি ওম্যান জেনিফার রাজকুমার, কুইন্স কাউন্টির অ্যাটর্নি জেনারেল মেলিন্ডা কেটসসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকে। নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের অনেকে।
কাউন্সিলম্যান জেমস এফ জিনারো শুরুতেই ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সবাইকে কিছু সময় নীরব থাকার আহ্বান জানান। শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশকে উদযাপন করছি। নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানকে উদযাপন করছি। বক্তব্যে তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও গুরুত্বও তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। নিউইয়র্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরের একটি রাস্তা বাংলাদেশের নামে হওয়া প্রবাসীদের জন্য বড় একটি অর্জন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আর কিছুদিন পর দুই দেশ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন হবে। এর মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে।
More Stories
বিজয়ের ৫৫ বছরে লস এঞ্জেলেসে কমিউনিটির প্রাপ্তি
- কাজী মশরুল হুদা বিজয়ের ৫৫ বছর হতে চলেছে। প্রায় ২ কোটির মত প্রবাসী বাংলাদেশী বিশ্বজুড়ে বসবাস করছে। যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে...
গণঅভ্যুত্থানের সময় আমিরাতে আটক ২৪ বাংলাদেশি মুক্তি পাচ্ছেন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক হওয়া আরও ২৪ বাংলাদেশি নাগরিক মুক্তি পাচ্ছেন। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর)...
থাইল্যান্ডের ই-ভিসা নিয়ে সতর্কবার্তা দূতাবাসের
বাংলাদেশের কয়েকটি এজেন্সি ২-৩ ঘণ্টায় থাই ই-ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। যা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস।...
মামদানির জয়ের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা রহিম
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি। কিন্তু তার এই ঐতিহাসিক বিজয়ের নেপথ্যে ছিলেন...
বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের ভিসা গণহারে বাতিলের ক্ষমতা চাইছে কানাডা
কানাডার সরকার বিদেশিদের গণহারে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা পাওয়ার চেষ্টা করছে। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ভারত ও...
দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে প্রত্যর্পণে কাজ করছে মালয়েশিয়া
বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম বিন আমিন নূর এবং তার সহযোগী রুহুল আমিন স্বপনের প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ নিয়ে কাজ...
