Read Time:4 Minute, 1 Second

মালদ্বীপে যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করেন সেখানে নিযুক্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।

দ্বিতীয় পর্বে রাত্র ৮টায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাইকমিশনার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করা হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ওপর নির্মিত একটি প্রাম্যণ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। সেই সাথে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি অর্জিত হয়েছে। দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে এবং উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। রূপকল্প-২০২১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা এবং রূপকল্প-২০৪১ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে ।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের বছরে বিজয় দিবস পালনে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা ও তাৎপর্য। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে এবং তার নেতৃত্বেই অর্জিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রেখে দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান ।

পরে স্থানীয় নীল দরিয়া শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব শেষে নৈশ্যভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বাংলাদেশের জনগণের ভালোবাসা আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়েছে: কোবিন্দ
Next post তুরস্কে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
Close