Read Time:3 Minute, 20 Second

বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক সুবর্ণ আইজাক বারী (৯) ২৪ অক্টোবর আফ্রিকা থেকে নিউইয়র্কে ফিরেছেন। তিনি চলতি বছরের দক্ষিণ আফ্রিকার ‘ভিঞ্চি ইনস্টিটিউট’ থেকে ‘দ্য ভিঞ্চি পুরস্কার’ বিজয়ী হন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য দ্য ভিঞ্চি ইনস্টিটিউট তাকে একটি বিশেষ বিমান দেয়। অধ্যাপক সুবর্ণ আইজাক-কে বহনকারি বিমান জোহানেসবার্গ তাম্বো বিমানবন্দরে ১৭ অক্টোবর অবতরণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ড. এইচ বি ক্লপার প্রফেসর সুবর্ণ আইজাককে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন। সুবর্ণকে দেখতে অনেক বাংলাদেশি এবং ভারতীয় বিমানবন্দরে জড়ো হন। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোটরকেড অধ্যাপক সুবর্ণ আইজাককে ভিলাকাজি স্ট্রিটে নিয়ে যায়। পৃথিবীর অনেক রাস্তায় নোবেল বিজয়ীর বাড়ি থাকে না- এবং পৃথিবীর কোন রাস্তায় দুজন নোবেল বিজয়ীর বাড়ি নেই। তবে সোয়েটোর কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত ভিলাকাজি স্ট্রিটে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই নেতা আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটু এবং নেলসন ম্যান্ডেলার বাড়ি। ভিলাকাজিতে পৌঁছে প্রফেসর সুবর্ণ আইজাক নেলসন ম্যান্ডেলার স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

পরদিন সকালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানিরা অধ্যাপক সুবর্ণ আইজাক বারীর সঙ্গে তিন ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক করেন। ভিঞ্চি ইনস্টিটিউটের চ্যান্সেলর ড. বেন অ্যান্ডারসন সেমিনার পরিচালনা করেন। বিকেলে, দুই শতাধিক আফ্রিকান গণমাধ্যম অধ্যাপক সুবর্ন আইজাকের সাক্ষাৎকার নেন। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রফেসর সুবর্ন আইজাক নেলসন ম্যান্ডেলার পর আফ্রিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি হয়ে ওঠেন বলে অবস্থাদৃষ্টে অনেকে মনে করেন।
পিএইচডি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টায় দ্য ভিঞ্চি ইনস্টিটিউটে শুরু হয়। প্রফেসর সুবর্ণ আইজাক বারী সাড়ে ছয়টায় ‘দ্য ভিঞ্চি লরিয়েট পুরস্কার’ গ্রহণ করেন। সন্ধ্যা সাতটায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জনকারীদের উদ্দেশ্যে মূল বক্তৃতা দেন।

আফ্রিকার ইউনিভার্সিটিতে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের এই সমাবেশে বক্তব্যকালে সুবর্ণ ঘোষণা করেন যে, তিনি ২০৪৮ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত হল ফাদার অব দ্য ন্যাশন: সিলেক্টেড স্পিচেস অব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
Next post যৌন হয়রানির শিকার হিলারির বিশ্বস্ত সহযোগী হুমা
Close