Read Time:4 Minute, 48 Second

আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলা ভ্রমণের মাধ্যমে ১৪৯ দেশভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশি নাজমুন নাহার। নাজমুন নাহার বাংলাদেশের পতাকাবাহী সর্বাধিক রাষ্ট্র ভ্রমণকারী প্রথম বাংলাদেশি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর নাজমুন পৌঁছান অ্যাঙ্গোলায় মাটিতে। তারপর তিনি ওনদিবা, হূমবে, বালানগানগা, মনগুয়া, চাহামা, লুবানগো, বেনগুয়েলা, লবিতো, পোর্তো এমবোইম, কালামবা, বারা ডো কুয়ানজা হয়ে সড়ক-মহাসড়ক, বন জঙ্গল, সমুদ্র পার হয়ে পৌঁছান দেশটির রাজধানী লুয়ান্ডায়।

২৪ সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্গোলার সরকারের ডেপুটি মিনিস্টার এলসা বারবের নাজমুন নাহারকে অভিনন্দন জানান বিশ্ব শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য। এলসা বারবের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নাজমুন নাহারকে শান্তির ব্যাজ পরিয়ে দেন। মন্ত্রী তার বিশেষ বার্তায় একজন নারী হিসেবে সারা বিশ্বে নাজমুন নাহারের এই অবদানকে ‌‘আগামী প্রজন্মের উৎসাহের ধারক’ বলে উল্লেখ করেন।

২৩ সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্গোলার সবচেয়ে জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা ‘জার্নাল দ্য অ্যাঙ্গোলা’য় নাজমুন এর জীবন ও বিশ্ব ভ্রমণের উপর এক বিশেষ ইন্টারভিউ প্রকাশিত হয়। তারপর ২৫ সেপ্টম্বর ন্যাশনাল রেডিও দ্য অ্যাঙ্গোলা’য় নাজমুন নাহারের বিশ্ব ভ্রমণের উপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আজ অ্যাঙ্গোলা’য় মিনিস্টার অব জাস্টিস এর আমন্ত্রণে মিনিস্ট্রি অব জাস্টিস অফিসে বিশেষ সাক্ষাৎ করবেন নাজমুন।

নাজমুন নাহার এবারের অভিযাত্রা শুরু করেছেন ৬ আগস্ট। এই অভিযাত্রায় তিনি বুরুন্ডি, ডিআর কঙ্গো, সাউথ সুদান, নামিবিয়া, অ্যাঙ্গোলা সফর করেন। এখান থেকেই তিনি ১৫০ দেশ ভ্রমনের মাইলফলক অর্জন করবেন।

২৬ সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্গোলা প্রবাসী বাংলাদেশিরা অ্যাঙ্গোলার জেনিয়া রিসেপশন হলে নাজমুন নাহারের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাঙ্গোলা মিনিস্ট্রি অব কালচার অ্যান্ড ট্যুরিজম অ্যান্ড আম্বিয়েন্ট এর ডেপুটি সেক্রেটারি আনা গ্রাসিয়া। মিস আনা গ্রাসিয়া নাজমুন নাহারের ১৪৯ দেশে ভ্রমণে শান্তির বার্তা বহনের বিশেষ কৃতিত্বকে সাধুবাদ জানান।

এছাড়া গেস্ট স্পিকার উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত মোস্তাক আহমেদ ও ডাক্তার নাজনীন আহমেদ। মোস্তাক আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, নাজমুন নাহার বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে যেভাবে তুলে ধরছেন তা সত্যি বিরল সাহসিকতার কাজ, তা বাংলাদেশেকে বিশ্ব মানচিত্রে ইতিহাস করে রাখবে।

বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যক্তিত্ব তিনতা অ্যামেলিয়ার পরিচালক আল আমিন হীরার নেতৃত্বে প্রোগ্রামটি পরিচালনা করেন আনামুল হক। এছাড়া স্বাগত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোয়াব এ কর্মরত গোলাম সারওয়ার। আব্দুর রব রাসেল, নাদিম আহমেদ ও মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাসহ অ্যাঙ্গোলার প্রবাসী বাংলাদেশিরা নাজমুনকে অভিনন্দিত করেন। অনুষ্ঠানে নাজমুন এর জীবনের উপরের তথ্য চিত্র ও প্রেজেন্টেশন প্রদর্শিত হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সরকারকে এখন ফেয়ারওয়েল দেওয়ার সময় এসে গেছে : রিজভী
Next post ইসি হওয়া উচিত সব দলের ঐকমত্যে : সিইসি
Close