Read Time:3 Minute, 22 Second

প্রতিকূলতা নেহাত কম ছিলো না। তা সত্ত্বেও তৃতীয় দফায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, ২০০-এর বেশি আসনে এগিয়ে আছে বা জিতেছে ঘাসফুল শিবির। কোনো কোনো কারণে তৃণমূলের সেই জয় এলো, তা দেখে নিন একনজরে –

দুয়ারে সরকার কর্মসূচি: নিজেদের দ্বিতীয় জমানার একেবারে শেষেরদিকে সেই কর্মসূচি চালু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তা নিয়ে বিরোধীরা বিস্তর কটাক্ষ করলেও জনমানসে ইতিবাচক প্রভাব যে পড়েছে, তা ভোটবাক্সে বোঝা গিয়েছে।

নিজেদের দ্বিতীয় জমানার একেবারে শেষেরদিকে সেই কর্মসূচি চালু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তা নিয়ে বিরোধীরা বিস্তর কটাক্ষ করলেও জনমানসে ইতিবাচক প্রভাব যে পড়েছে, তা ভোটবাক্সে বোঝা গিয়েছে।

বিজেপি-বিরোধী ভোট এককাট্টা হওয়া: লড়াইটা যে বিজেপি বনাম তৃণমূল হবে, তা আগে থেকেই ভেবে নিয়েছিলেন ভোটাররা। সেইসঙ্গে বিজেপিকে রুখতে পারবে একমাত্র তৃণমূল – এমন ভাবনাও কাজ করেছে। তার ফলে বিজেপি-বিরোধী ভোটের বেশিরভাগটাই তৃণমূলের ভোট ব্যাংকে গিয়েছে। সেই প্রমাণ মিলেছে তৃণমূলের ভোটের হার বৃদ্ধি পাওয়ায়। প্রাপ্ত ভোটের হারের নিরিখে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি হয়েছে।

বামেদের ভোট রাম বিমুখ হওয়া: ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বামেদের ভোটের বড় অংশ বিজেপিতে গিয়েছিল। তার ফায়দা পেয়েছিল গেরুয়া শিবির।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ: যত শেষের দিকে এগিয়েছে ভোট, তত তৃণমূলের দাপট বেড়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সেই সময় দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে মোদী সরকারকে দোষে প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল। যা ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলেছে।

মমতার ব্যক্তিগত ক্যারিশমা: প্রথম থেকেই মমতা বলে এসেছেন, ২৯৪ টি আসনেই প্রার্থী তিনি। নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরেছেন। যথারীতি সেই প্রয়াস কাজে দিয়েছে।

প্রশান্ত কিশোর ফ্যাক্টর: ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বড়সড় ধাক্কা খাওয়ার পর তৃণমূলের ভোটকুশলীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন পিকে। তার কড়া ওষুধে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হলেও ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযান চলেছে। দলের খোলনলচে পরিবর্তনের ফলে তৃণমূলের জয়ের রাস্তা প্রশস্ত হয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মালয়েশিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল
Next post ভারতে মোদীবিরোধী রাজনীতিতে মমতাই এখন সবার ভরসা
Close