Read Time:4 Minute, 51 Second

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারিতে থাকার পর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে রবিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুপুর পৌনে ২টার দিকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশিদ।

ডিসি হারুন বলেন, ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলার তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করে ডিসি হারুন বলেন, আপনারা জানেন বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের বিভিন্ন জায়গায়, থানায়, বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর হয়েছে। অনেক ঘটনাই ঘটেছে। এছাড়া আমাদের মোহাম্মদপুর থানায় একটি ভাংচুরের মামলা ছিল। সেই মামলায় আমরা তদন্ত করছিলাম। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কনফার্ম হয়েছি যে এই মামলার সঙ্গে তিনি (মামুনুল) জড়িত। আমরা মোহাম্মদপুর থানার মামলায় মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া থেকে তাকে আজ গ্রেপ্তার করেছি।

এছাড়া আপনারা জানেন যে, পল্টন থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় নাশকতার মামলা, ভাঙচুরের মামলাসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে। সেই মামলায় আমরা শুনেছি শ্যোন এরেস্ট দেখানো হতে পারে।

মোহাম্মদপুরের মামলাটি ২০২০ সালের। সেটি আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত করে আমাদের সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া সে এজাহারনামীয় আসামি।

আমরা আরো শুনেছি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বিভিন্ন থানায় সে ভাংচুরের বক্তব্য দিয়েছে, মানুষকে উত্তেজিত করেছে। সব কিছুতেই তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। এবং সে মামলায়ও তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখাবে।

শাপলা চত্বরের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওইটা তো আপনারা নিজেরাই দেখেছেন। তার সম্পৃক্ততা ছিলো কি না।

ডিসি হারুন বলেন, আপনারাও জানেন ১৩ সালের ঘটনায় এই সাত বছর ধরে তারা উত্তেজনামূলক বক্তব্য রেখেছেন এবং ইদানীং বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে মানুষকে উসকানি দিচ্ছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানা, ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তার নামে অজস্র মামলা রয়েছে। যাই হোক, আমরা শুনেছি ওই সকল মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। পাশাপাশি আমাদের যে মামলাটি সেই মামলাটির সত্যতা পেয়েছি।

মোহাম্মদপুর থানার মামলায় রিমান্ড আবেদন করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে আমাদের পুলিশের উপর হামলা, পুলিশকে মারপিট করা, হাটহাজারি থানায় হামলা করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অনেক মানুষ মৃত্যু বরণ করেছে। পল্টন থানায় হামলা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আমরা তাকে নজরদারিতে রাখছিলাম। আমরা ওয়াচ করছিলাম। যখন সুস্পষ্টভাবে তার বিরুদ্ধে আমরা প্রমাণ পেয়েছি তাই আজকে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে। আদালতে উঠানোর আগ পর্যন্ত তাকে থানায় রাখা হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post অভিনেতা এস এম মহসীন আর নেই
Next post জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মুজিবনগর দিবস পালন
Close