Read Time:4 Minute, 48 Second

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করেছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ এ সরকারের প্রয়াত সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। মুজিবনগর সরকারের ওপর একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয় ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে।

এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য এবং কীভাবে অস্থায়ী এই রাজধানী বঙ্গবন্ধুর নামে মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয় সে ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনার পরে ২৬ মার্চ জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঝাপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি স্থাপনে মুজিবনগর সরকারের কোনো বিকল্প ছিল না।’

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্ব, কৌশল ও সময়োপযোগী দিক-নির্দেশনার ফলে মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায় মর্মে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘মুজিবনগর সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে বিশ্ব জনমতকে বাংলাদেশের পক্ষে আনা, যা তারা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছিল। এই সরকার বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পক্ষে আনতে বেশ কিছু সময়োযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকরা যেন দ্রুত পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে আনুগত্য প্রকাশ করেন, সে উদ্যোগ গ্রহণ করে।’

তিনি নতুন প্রজন্মের মাঝে মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান। প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এবং মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারি বাংলাদেশে গমনকালে যেন তাদের সন্তানদের এই ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করান সে মর্মে অনুরোধ জানান স্থায়ী প্রতিনিধি।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘জাতির পিতা যে শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাব এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রতিটি স্তরে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করব, মুজিবনগর দিবসে এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।’

উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন আলোচকগণ। মুজিবনগর দিবসের এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি অংশগ্রহণ করেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার মামুনুল
Next post দেশে একদিনে রেকর্ড ১০২ জনের মৃত্যু
Close