Read Time:4 Minute, 34 Second

দৈনিক গড়ে ২০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া সত্ত্বেও আমেরিকানদের আরো এক বছর অপেক্ষা করতে হবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ড. এ্যান্থনী ফাউসি বৃহস্পতিবার এমন অভিমত পোষণ করেছেন টেক্সাস, মিসিসিপির পর আলাবামা স্টেটেও স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি শিথিলের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে।

ড. ফাউসি মনে করছেন, দৈনিক গড়ে ১০ হাজারের কম আমেরিকান করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেই স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি শিথিলের কথা ভাবা যেতে পারে। কারণ, এখনও দৈনিক গড়ে ৫৫ হাজারের অধিক আমেরিকান সংক্রমিত হচ্ছেন। এটি একটি মহামারি। তাই তাকে অবজ্ঞা-অবহেলার অর্থ হবে মানুষের জীবনকে জিম্মি করার সামিল। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন টেক্সাস আর মিসিসিপি স্টেট গভর্নরদের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে। বাইডেন বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলেই সবকিছু স্বাভাবিক হবে। তবে এজন্যে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। টিকা নিতে হবে।
২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের দিন বাইডেন প্রথম ১০০ দিনে ১০০ মিলিয়ন তথা ১০ কোটি আমেরিকানকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছিলেন। সেই লক্ষ্য এখন ছাড়িয়ে দৈনিক দুই মিলিয়ন তথা ২০ লাখে পৌঁছেছে। এটি করোনা নিয়ন্ত্রণ/রোধে অত্যন্ত ইতিবাচক একটি প্রক্রিয়া বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মন্তব্য করেছেন। সিডিসি বলেছেন, সকল আমেরিকান টিকা নেয়ার পর সংক্রমণের ঝুঁকি একেবারেই কমে আসবে।

বাইডেনের টার্গেট অনুযায়ী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন আমেরিকানকে টিকা প্রদান করার কথা। অথচ ৪ মার্চ পর্যন্ত তা ৫৪ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এদিন জনসন এ্যান্ড জনসনের টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এর গতি ত্বরান্বিত হবে। কারণ, ফাইজার এবং মডার্নার মত জনসনের দুটি টিকার প্রয়োজন নেই। একটিই কোর্স সম্পন্ন হচ্ছে। টিকা নিতে কদিন আগেও যাদের চরম অনীহা ছিল, এখন তারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। অর্থাৎ টিকার প্রতি সর্বস্তরের আমেরিকানের আস্থা বেড়েছে। ইতিমধ্যেই যারা টিকা নিয়েছেন তারা স্বাচ্ছন্দবোধ করায় টিকার প্রতি আগ্রহ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। কোন টিকারই তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। প্রথম ডোজের পর সামান্য জ্বর আসে এবং দ্বিতীয় ডোজের পর দুদিন শরীর খুব দুর্বল বোধ হয়। এরপর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসে।

ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (ফেমা)’র পক্ষ থেকে নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া এবং টেক্সাসে বড় ধরনের ৭টি কেন্দ্র চালু করেছে টিকা প্রদানের জন্যে। সামনের সপ্তাহে শিকাগোর ইউনাইটেড সেন্টারে আরেকটি খুলবে ফেমা। আর এভাবে দৈনিক টিকা প্রদানের হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। চাহিদার পরিপূরক টিকা সরবরাহ করাও হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তথা আফ্রিকান-আমেরিকান, স্প্যানিশ এবং এশিয়ান অধ্যুষিত এলাকাতেও টিকা প্রদানের কার্যক্রম জোরদার করায় টিকা নিয়ে বৈষম্য চলার অভিযোগ কমেছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post কমনওয়েলথের অনুপ্রেরণাদায়ী তিন নারী নেতার একজন শেখ হাসিনা
Next post বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করলেন ইতালির রাষ্ট্রপতি
Close