বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (০৫ মার্চ) সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। এসময় সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এক নেতার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের এ অভিযোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। বিএনপি নেতার বক্তব্য তাদের খুনের রাজনীতির স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। এ বক্তব্য থেকে বোঝা যায় বিএনপি এখন আন্দোলন এবং নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্রের জাল দেশে-বিদেশে বিস্তৃত। বিএনপি নেতাদের বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তাতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ। ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম এটা ব্যক্তিগত কোনও বক্তব্য। কিন্তু গত তিন দিনেও বিএনপির দলীয় কোনও বক্তব্য না আসায় আমরা কী ধরে নেব এটা তাদের দলীয় বক্তব্য? যদি দলীয় বক্তব্যই হয় তাহলে আবারও বিএনপি’র ফ্যাসিবাদী মানসিকতা, ষড়যন্ত্র ও খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট উঠেছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। আমরা আবারও স্পষ্টভাবে জানতে চাই বিএনপি নেতার প্রকাশ্যে হুমকি, এটা তাদের দলীয় বক্তব্য কিনা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের অবস্থান জনগণ আশা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- সরকার নির্বাচিত নয়, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে। বিএনপি এসব হুমকি-ধামকি বছরের পর দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি’র আন্দোলন ও সরকার পতনের ঘোষণার ইতোমধ্যে যুগ পূর্তি হয়ে গেছে। কিন্তু জনগণ কোনও আন্দোলনে দেখতে পায়নি রাজপথে। নির্বাচনে তাদের কোনও সাফল্য নেই। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা সরকার পরিচালনায় একাধিক বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরি করেছিল। এখনও তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতা কেন্দ্র থেকে। তাদের আন্দোলন ভাবনায় জনগণের কোনও ইস্যু নেই। আছে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার উদগ্র বাসনা। বিএনপি ক্ষমতা ফিরে পেলে দেশকে আবারও সাম্প্রদায়িকতার নিকষ অন্ধকারে ডুবিয়ে দেবে। তাদের রাজনীতি বহু ধারায় বিভক্ত। আর এই বিভক্ত রাজনীতি জনগণের কল্যাণের চেয়ে হুমকি ডেকে আনবে।’
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সমালোচনা করে তাদের আরও বলেন, ‘ফখরুল সাহেব কথায় কথায় বলেন সরকার নাকি অনির্বাচিত, জনগণ ভোট দেয়নি। আমি, আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই আপনি নিজেও তো সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে আবার কোনও অদৃশ্য ইশারায় শপথ গ্রহণ করলেন না। অন্যদিকে আপনার দলের সাংসদরা সংসদে আছেন। তাদের কি আপনি এবং আপনার দলের প্রতিনিধিরা জালিয়াতির মাধ্যমে নির্বাচিত করেছিলেন?’
More Stories
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ৮ খণ্ডের এই প্রতিবেদনে কমিশনের সুপারিশ, জুলাই জাতীয় সনদ ছাড়াও ঐকমত্য...
নির্বাচনে উপদেষ্টাদের অংশগ্রহণ নিয়ে ইসির সতর্কবার্তা
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে থেকে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, এমনকি ভোটের প্রচারেও অংশ নিতে পারবেন না...
পোস্টাল ব্যালটে থাকছে না নৌকাসহ ৪ প্রতীক
আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে থাকবে না নৌকাসহ ৪ প্রতীক বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন...
দেশের ভবিষ্যৎ বিএনপির হাতে, ঐক্য না থাকলে অস্তিত্বের প্রশ্ন আসবে
বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব তথা দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু বিএনপির ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নিজ...
সংস্কার নয়, বিএনপি-জামায়াত শুধু ক্ষমতা নিয়ে ব্যস্ত: আখতার হোসেন
সংস্কার নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল কথা বলছে না। কীভাবে ক্ষমতায় আসবে সেটি নিয়ে ব্যস্ত বিএনপি ও জামায়াত বলে মন্তব্য করেছেন...
দায়িত্ব নেওয়ার সময় নির্বাচন দেওয়ার কোনো শর্ত ছিল না : সাখাওয়াত হোসেন
দেশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না, তা নির্বাচন কমিশনই বলতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার...
