Read Time:4 Minute, 21 Second

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের একজন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।

‘বীর উত্তম’ মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় জড়িত থাকা এবং রাজাকারদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনসহ নানা অভিযোগ।

তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা বা না করা নির্ভর করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর।

জামুকার সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ওই হত্যাকাণ্ডে মদদ দেওয়ার কারণে জিয়াউর রহমানের খেতাবও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’

তিনি জানান, তাদের এসব সিদ্ধান্ত এখন মন্ত্রণালয়ে যাবে। তবে এটি গ্রহণ করা বা না করার ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের আছে।

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার জন্য পাওয়া খেতাব পরবর্তীতে বাতিলের সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের শাহাজান খান বলেন, একটা কমিটি এ নিয়ে কাজ করবে এবং তারাই এ বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।

জামুকার এ সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘জামুকা যে প্রস্তাব এনেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। যদি এ ধরনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় তা হলে এটা হবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি চরম অবমাননার শামিল।’

ড. মোশাররফ বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ২৬শে মার্চ ১৯৭১ তারিখ সকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করেছেন ও কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। দেশে বিদেশে সবার তা জানা। কেউ তা অস্বীকার করতে পারবে না। তিনি প্রথম সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন এবং পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।’

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সেরও কমান্ডার ছিলেন। এখন ৫০ বছর পর যদি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াকে অস্বীকার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে তা দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক হিসেবে ৬৮ জনকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়েছিল। এ তালিকায় তিন নম্বরে ছিল জিয়াউর রহমানের নাম।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post আল-জাজিরার প্রতিবেদনের বিষয়ে জাতিসংঘকে তদন্তের আহ্বান বিএনপির
Next post দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
Close