Read Time:2 Minute, 36 Second

ব্ল্যাক ফ্রাইডে। মূলত এ দিনটি এমন একটি দিন, যেদিন ব্যবসায়ীরা বছরের নতুন আইটেম ও নতুন পণ্য বিক্রির মধ্য দিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করে থাকেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে অভিজাত কোম্পানিসহ ছোট-বড় নামি-দামি সব শপিংমলে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে থাকে। বেশির ভাগ পণ্যে ৫০% ছাড় দিয়ে থাকে। তবে কিছু পণ্যে সর্বোচ্চ ৯০% পর্যন্ত ছাড় দেয়ার কারণে আগের রাত ১২টা থেকেই শপিংমলে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় শুরু হয়।

২০১৪ সাল থেকে মূলত দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্ল্যাক ফ্রাইডে শুরু হয়েছে। নভেম্বর মাসের চতুর্থ শুক্রবার ব্ল্যাক ফ্রাইডে হিসেবে ধরে নেয়া হলেও কিছু কিছু কোম্পানি ও শপিংমল এক সপ্তাহ ছাড় দিয়ে থাকে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে। এ দিনটির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকানরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন। এ দিনটি বাংলা পহেলা বৈশাখের সঙ্গে কিছুটা মিল পাওয়া যায়।

পহেলা বৈশাখে যেমন সারা বছরের বাকিতে ক্রয়-বিক্রয় হালখাতার মাধ্যমে উভয়ের মুখে হাসি ফুটে; ঠিক তেমনি ব্ল্যাক ফ্রাইডে সারা বছরের লাভ-লোকসান একসঙ্গে উঠে আসে।

বিগত বছরগুলোতে ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে মানুষের ভিড়ে প্রায় প্রতিটি মলের দরজা ভেঙে যাওয়ার রেকর্ডও আছে। কিন্তু এ বছর মানুষের তেমন একটা ভিড় নেই বললেই চলে। অনেকেই মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড-১৯ মহামারী, অর্থনীতির মন্দার কারণে ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে প্রভাব পড়েছে।

শপিংমলের বেশিরভাগ দোকানগুলোতে কয়েকটি কাতারে প্রবেশ করার সহজ ব্যবস্থা ছিল। দোকানগুলোর বিধিনিষেধ, সামাজিক দূরত্ব এবং স্যানিটাইজিংসহ তাদের কোভিড-১৯ প্রোটোকল ছিল।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post হোয়াইট হাউজ ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প
Next post পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুস্থতা কামনায় নিউইয়র্কে দোয়া মাহফিল
Close