Read Time:3 Minute, 28 Second

সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফিরে পুলিশের ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনার অভিযোগে এক বাংলাদেশি তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। তাঁর নাম আহমেদ ফয়সাল। গতকাল মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর পাশাপাশি কাশ্মীরে যাওয়ারও পরিকল্পনা ছিল ফয়সালের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রকাশিত খবরের বিষয়টি তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন।

ফয়সালের বয়স ২৬ বছর। গত ২ নভেম্বর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিঙ্গাপুরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, তিনি ধর্মীয় চরমপন্থায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটাতে চেয়েছিলেন। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যান তিনি। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের অনলাইন প্রচারণায় প্ররোচিত হয়ে তিনি চরমপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েন। তবে তদন্তে দেখা গেছে, তিনি সিঙ্গাপুর নয়, বরং বাংলাদেশে ফিরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। হামলার জন্য বিশেষভাবে তিনি লক্ষ্য ঠিক করছিলেন হিন্দু পুলিশ সদস্যদের। ফয়সাল সহিংসতায় উসকানিমূলক তথ্য প্রচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। ভাঁজ করে সহজে বহন করা যায় এমন একটি ছুরিও তিনি সংগ্রহ করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে সহিংসতার কাজে ব্যবহারের জন্যই ছুরি সংগ্রহ করেছিলে বলে জানান।

ইউরোপে সাম্প্রতিক সহিংসতার পটভূমিতে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজন অন্তত ৩৭ জনের ব্যাপারে তদন্ত চালিয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন বিদেশি। বাকিরা সিঙ্গাপুরের নাগরিক।

সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, সন্দেহভাজন ১৫ বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার একজনকে নিজ নিজ দেশে এরই মধ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ওই বাংলাদেশিরা সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁরাও হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ৭০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরলে রোখা যাবে করোনা: গবেষণা
Next post অবশেষে বাইডেনকে অভিনন্দন জানালেন জিনপিং
Close