Read Time:6 Minute, 44 Second

জার্মান আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গ্রেনেড হামলা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি বসিরুল আলম চৌধুরী সাবুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জুম আলোচনায় সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, গ্রীস, সুইডেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা, নরওয়ে, রাশিয়া, চেক-রিপাবলিক, সৌদি আরব, জাপান, মালয়েশিয়া, কুয়েত, দক্ষিণ কোরিয়া, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল ও বিশেষজ্ঞ পরিষদ ও ইউরোপসহ ৩০টি দেশের প্রবাসীরা অংশ নেন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনার ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। আহত করা হয় ৩৭০ জনকে। এ ধরনের হামলা নতুন কিছু নয়। বরাবরই শেখ হাসিনার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে। আল্লাহর রহমতে তিনি বেছে গেছেন। বরাবরই আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। বিএনপি জামায়াতের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হত্যা। তারা ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট করেছে। ঠিক তেমনিভাবে ২০০৪ সালেও এমন হামলা চালিয়েছে। সব হামলা একই ধরনের।

 

এ কে মোমেন বলেন, মুজিববর্ষে আমরা একজন খুনিকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে পেরেছি। বাকিদেরও দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। পৃথিবীর যে সব দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পালিয়ে আছে আপনারা খুনির বাড়ির সামনে গিয়ে আন্দোলন, প্রতিবাদ করুন, যাতে করে সেসব দেশের সরকারের নজরে পড়ে। আপনারা বলুন যে এই বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর খুনি আছে। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অবস্থান বিষয়ে তথ্য দিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তারা বিশ্বের এতগুলো দেশকে সংযুক্ত করে জার্মান আওয়ামী লীগের এমন আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও প্রধান উপদেষ্টা জার্মান আওয়ামী লীগের শ্রী অনিল দাশ গুপ্ত নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানান।

সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন তার বক্তব্যে বলেন, যারা বাংলাদেশে ১৫ আগস্টের জন্ম দিয়েছে, তারাই ২১ আগস্ট ঘটিয়েছে।  ২১ আগস্টের হত্যা মামলার অন্যতম পরিকল্পনাকরী এবং মূল হোতা তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে তার মামলার রায় কার্যকর করার অনুরোধ জানান তিনি।

সভায় সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সভাপতি এম নজরুল ইসলাম ইউরোপে জামায়াত-বিএনপির অপপ্রচার প্রতিরোধ করতে দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।

জুম আলোচনা সভায় অংশ নেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এম এ গনি, সাবেক প্রচার সম্পাদক খোকন শরীফ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, কানাডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্স, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদমিয়া, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সুদিপ সোম রিঙ্কু।

সভায় আরও যোগ দেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল হক, ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিজ ফরাজী, সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফারহাদ আলী খান, স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিজভি আলম, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি, জহিরুল আলম জসিম, সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি, শহীদুল হক, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন তপন, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি, খন্দকার হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, সাইফুল ইসলাম কবির, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক, মাহবুবুর রহমান, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, মোহাম্মেদ আবুল কাশেম, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, শ্যামল খান, গ্রীস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, সুইডেন আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক জুবাইদুল হক সবুজ ও আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতারা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বাংলাদেশের মানুষ না চাইলে সিঙ্গাপুর চলে যাব : ড. বিজন কুমার
Next post ট্রাম্পের মুখ দেখতে হাঁসের পশ্চাদদেশের মতো
Close