ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানি এজেন্ট।
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তীকালের বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারার রাষ্ট্রে ফিরিয়ে নিতে কাজ করেছিলেন। এছাড়া পরবর্তীকালের কর্মকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু হত্যায়ও তার সম্পৃক্ততা প্রমাণিত।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতারা এ কথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড: নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা ডিজিটাল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, লেখক ও সাংবাদিক আবেদ খান, সিনিয়র সাংবাদিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভাষাতাত্ত্বিক ও শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।
‘আসুন আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিবেকবোধ জাগ্রত করি, বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করি’ এই স্লোগান ধারণ করে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ভারত ভীতি দেখিয়ে একটি রাজনীতি শুরু হয়। এ সংকটটা ছিল প্রকট এবং বিরাট। এর নেপথ্যের নায়ক হিসেবে জিয়াউর রহমান ষড়যন্ত্রটা পাকাপোক্ত করেন। সেসময় মুক্তিযুদ্ধের শক্তির ভেতরেও ছিল একটি বিভেদ। জাতির পিতাকে হত্যায় সেটাও কাজে লাগানো হয়েছে।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং বঙ্গবন্ধুর সরকারকে উৎখাতের জন্য যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, তাদের জিয়াউর রহমান সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন, মদদ দিয়েছেন। ৭৫ এর আত্মস্বীকৃত খুনিরা পরবর্তী নানা সময়ে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জিয়াউর রহমান তাদের সবসময় বলেছেন, ‘তোমরা যদি কিছু করতে পার, কর, আমি আছি। তবে ব্যর্থ হলে আমার নামটা নিও না’। এভাবে নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের উৎসাহ দিয়েছেন এবং নিজেও ষড়যন্ত্র করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না, এটা আজ দিবালোকের মতো সত্য। এছাড়া জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন, এটাও দিবালোকের মতো সত্য।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ তিনি খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন এবং পুরস্কৃত করেছেন। জিয়াউর রহমান যদি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকতেন, তাহলে খুনিরা পুরস্কৃত হতেন না; রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেতেন না। জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের একজন এজেন্ট। এটা তিনি তার কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।
More Stories
জুলাই আন্দোলনের ডকুমেন্টারি ভারতীয় মিডিয়ার জন্য চপেটাঘাত: শফিকুল আলম
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া অনেক আজে বাজে কথা লিখে তবে আমার...
নির্বাচন যত বিলম্ব হবে দেশের সমস্যা তত বাড়বে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে দেশের সমস্যা তত বাড়বে। জনগণ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব ঠিক করবে।...
অভ্যুত্থানে নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’, আহতরা ‘জুলাইযোদ্ধা’, পাবেন সনদ-পরিচয়পত্র
গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাইযোদ্ধা’ নামে অভিহিত করা হবে। একইসঙ্গে এই খেতাবের...
বন্ধুত্ব করতে চাইলে আগে তিস্তার পানি দেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেন: ভারতকে মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতকে আগেও বলেছি, এখনো পরিষ্কার করে বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব...
তাহলে কি ভেঙে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন?
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে নতুন ছাত্র সংগঠনের। শিগগিরই এই ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। সোমবার...
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে চান উত্তরপূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারতীয় সরকার ‘অনীহা’ দেখালেও দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলের ৫৫ শতাংশ মানুষ চান তাকে যেন স্বদেশে...