Read Time:4 Minute, 19 Second

হঠাৎ ঝলসে উঠার মত ঘটনার জন্ম দিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান ডোনা ইমাম। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে ৫৬% (২০,৮৮৪ )ভোট পেয়ে টেক্সাসের কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩১ এর চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। অস্টিনের উইলিয়ামসন কাউন্টি এবং সেনা ছাউনি অধ্যুষিত ফোর্ট হুড নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকার ৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষের ৫৯.১৯% হলেন শ্বেতাঙ্গ। এশিয়ানের সংখ্যা মাত্র ৫.২%। হিসপ্যানিক হচ্ছে ২৩.৯৩% এবং কৃষ্ণাঙ্গের সংখ্যা ১১.২৪%।

এই আসনে কখনোই ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হতে পারেনি। এবারই প্রথম বাঙালির রক্ত প্রবাহিত ডোনা রিপাবলিকানদের একটি ধাক্কা দিতে চাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তিনি অভিবাসী সমাজে আলোড়ন সৃষ্টির পাশাপাশি মধ্যম আয়ের শ্বেতাঙ্গদেরকেও পাশে টানার চেষ্টা করেছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে মন্তব্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান হিসেবে মিশিগানের একটি আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন হেনসেন ক্লার্ক। তিনি দু’বছরের এক মেয়াদের বেশি টিকতে পারেননি ‘ভিলেজ পলিটিক্স’র কারণে। এ বছরের ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে নিউইয়র্ক এবং জর্জিয়া থেকে দুই বাংলাদেশি অংশ নেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি।
তবে ডোনা ইমাম প্রাথমিক পর্ব অতিক্রম করেছেন অত্যন্ত সাফল্যের সাথে। টেক্সাসে জন্মগ্রহণকারি ডোনা ইলেক্ট্রিক্যাল এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্সকারী ডোনা নিজেই একটি ফার্ম দিয়েছেন। সেখানে কাজের পাশাপাশি মার্কিন রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। সাম্প্রতিক ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের আগে কঠোর পরিশ্রমী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। সকলের জন্যে চিকিৎসা-সেবা নিশ্চিত করা এবং অভিবাসীদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ চিরতরে বন্ধ করার স্লোগানও দিচ্ছেন ডোনা। সহজ কথায় পিছিয়ে পড়া সমাজকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মকভাবে কাজের অঙ্গিকার করছেন ডোনা।

এ অবস্থায় তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের আন্তরিক সহায়তা চেয়েছেন। এটি হতে পারে আর্থিক এবং সাংগঠনিকভাবে। টেলিফোন, ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটারেও ভোট প্রার্থনার সুযোগ রয়েছে অন্য স্টেটে বসবাসকারীদের জন্যেও। ডোনার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন জন কার্টার। আরও রয়েছেন লিবারেল পার্টির ক্লার্ক প্যটারসন এবং স্বতন্ত্র জেরেমী ব্রেভো। ডোনা একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে ভোটারের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলাদা একটি জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে। ডোনাকে সমর্থন দিয়েছে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান ফর পলিটিক্যাল এ্যাকশন’ নামক একটি জোট। আগামী ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনার বিজয়ে সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছে এই সংগঠন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post করোনায় আক্রান্ত রামেন্দু-ফেরদৌসী দম্পতি
Next post নিউইয়র্কে তিন বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যু
Close