Read Time:3 Minute, 32 Second

চীনের উপর বেজায় চটে ছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করেই তার এই ক্রোধ প্রকাশ করেন। ভারতের সাথে চীনের সীমান্ত ঝটিলতায়ও ভারতের সাথেই তাল মিলিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু হঠাৎ করে আবার চুপসে গেছেন ট্রাম্প। ঈর পেছনে বড় রহস্য দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা।

যতই চীন বিরোধী রব তুলুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ফের চীন-ট্রাম্প সমঝোতার বিষয়টি সামনে চলে আসছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চীনা কমিউনিস্ট সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের এডিটর ইন চিফ টুইটে ট্রাম্পের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘মার্কিন-চীন সম্পর্ক খারাপ করতে আর কোনও পদক্ষেপ নেবেন না। চীনা ছাত্রদের দেশ থেকে বের করবেন না। আমেরিকানদের টিকটক ব্যবহার থেকে আটকাবেন না। মনে রাখবেন, এটা আপনাকে পুননির্বাচিত করতে সাহায্য করবে।’ এরপর থেকে ট্রাম্পকে নীরব থাকতে দেখা যাচ্ছে।

এদিকে আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনের বিস্ফোরক দাবি, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ট্রাম্প শি জিনপিংয়ের কাছে সাহায্য চেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন। বল্টন তার বইতে লেখেন, ‘দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতি হতে চীনের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জন্য চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের কাছে নাকি রীতিমতো আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। আসলে ট্রাম্প আমেরিকার কৃষকদের ভোট নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এর জন্য আমেরিকা থেকে চীন যেন বেশি করে গম ও সয়াবিন আমদানি করে তার অনুরোধ করেছিলেন।’

এই খবরে গোটা বিশ্ব তোলপাড় হওয়ার কয়েকদিনেই গ্লোবাল টাইমসের এডিটরের এই টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। চীনকে একঘরে করতে তৎপর ট্রাম্প জি৭ সম্প্রসারণের বিষয়ে বেইজিংকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করেছেন। তেমনই চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপকে সমর্থন করার পাশাপাশি প্রয়োজনা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হংকং-তাইওয়ানেও বেইজিংয়ের কার্যক্রম নিয়ে সরব হয়েছেন ট্রাম্প ও তার প্রশাসন। হঠাৎ চুপ হয়ে যাওয়ায় মনে করা হচ্ছে ট্রাম্প নির্বাচনী বৈতরণী পাড় হতে চীনের সাথে আঁতাতের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post স্বাস্থ্যের ডিজিকে শোকজ
Next post রাতে থানা হাজতে থাকতে হয়েছে ডা. সাবরিনাকে
Close