আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে আমেরিকায় সর্বত্র রোজা শুরু হচ্ছে। প্রতি বছরের চেয়ে এবারের রমজান একটু ভিন্ন। কারণ করোনা। এই মাহামারির সময়ে কেমন যাবে রমজান তা নিয়ে সবার মনে উদ্বেগ কাজ করছে। ২৩ এপ্রিল মধ্য রাতে সেহেরী খেয়ে শুরু হবে প্রথম রোজ। লকডাউনের জন্য মসজিদ বন্ধ থাকায় ঘরে বসে তারাবি সহ সকল নামাজ আদায় করতে হবে।
যেহেতু খতমে তারাবি হচ্ছেনা, সেহেতু ৮ রাকাত তারাবির নামাজ ঘরে বসে আদায় করা যাবে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক স্কলার।
যদিও প্রতিবছর ইসলামিক সেন্টার অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া রমজানে জামাতে ৮ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করে থাকে।
সাধারণত রমজান মাসে লস এঞ্জেলেসের রোজাদারগণ মসজিদে সবাই একত্রিত হয়ে ইফতার করে থাকেন। কিন্তু এবছর ২০২০ সালের রোজায় তা সম্ভব হবে না। সকলকেই ঘরে বসে ইফতার করতে হবে।
সবার একটাই কথা করোনা এসে সব নিয়ম কে অনিয়মে পরিণত করেছে। নতুন করে সবকিছু পালন করতে গিয়ে অনেক কিছুই ভাবতে হচ্ছে রোজাদারদের। প্রতিবছর অনেক মানুষ রোজা পালনের জন্য কাবাশরীফে চলে যেত আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায়। প্রথমবারের মত তাও বন্ধ রয়েছে।
তাই এবছর ঘরেই আবাদ করতে হবে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায়। প্রতিটি মানুষের বাসভবন হয়ে উঠছে এক একটি মসজিদ।
এদিকে লিটল বাংলাদেশ এলাকায় যেসকল দেশীয় রেস্টুরেন্ট এণ্ড গ্রোসারীর দোকান রয়েছে তাদের মধ্যে সোনার বাংলা গ্রোসারী রোজাকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য টেলিফোনে অর্ডার গ্রহণের ব্যবস্থা করেছে। তারা ক্রেতার বাজার ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। এ জন্য ক্রেতাদের দোকানে আসতে হবে না এবং হোম ডেলিভারির জন্য কোন চার্জও দিতে হচ্ছে না।
রোজার ইফতারের জন্য আলাউদ্দিন রেস্টুরেন্ট সহ দেশি কস্তুরী, স্বদেশ ও পরদেশ ইফতারী তৈরি করবে, যা শুধুমাত্র ক্রয়ের জন্য। সেখানে বসে ইফতার করা যাবে না। ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যেতে হবে।
সোনার বাংলা, পরদেশ, স্বদেশ, দেশী, এশিয়া মার্ট, কস্তুরী ও আলাদ্দিন রোজার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে রোজার সামগ্রী মজুদ করেছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশী খাদ্য পণ্যের যেনো কোন রকম অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর দিয়ে ব্যবসায়ীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কমিউনিটির মানুষের মধ্যে কোন রকম অভাব বা খাদ্য সংকট না হয় সে জন্য অনেকেই ব্যাক্তিগত এবং সাংগঠনিক ভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মুনা ক্যালিফোর্নিয়া চ্যাপ্টার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, ক্যালিফোর্নিয়া সহ অন্যান্য সংগঠন নিজেদের মত করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হয়তো লস এঞ্জেলেস কমিউনিটির মানুষের রোজায় তেমন কোন সমস্যা হবে না, তবে প্রতি বছরের মত এক সঙ্গে বসে ইফতার করার সেই আমেজ অনুভব করবে। রমজান শেষে করোনার পরিস্থিতি কি হবে তা এখনও কেউ বলতে পারছেন না। তাই ঈদ কীভাবে উদযাপিত হবে তা নিয়েও থেকে গেছে প্রশ্ন। তবে সময় বলে দেবে করণীয় কী?
করোনার এই সংকটময় মূহুর্তে সকলের রোজা সহজ হোক এবং আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হোক প্রবাস বাংলা এমনটি কামনা করে। কমিউনিটির সকলকে প্রবাস বাংলা রমজানুল মোবারাক জানাচ্ছে।
More Stories
বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের ভিসা গণহারে বাতিলের ক্ষমতা চাইছে কানাডা
কানাডার সরকার বিদেশিদের গণহারে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা পাওয়ার চেষ্টা করছে। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ভারত ও...
দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে প্রত্যর্পণে কাজ করছে মালয়েশিয়া
বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম বিন আমিন নূর এবং তার সহযোগী রুহুল আমিন স্বপনের প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ নিয়ে কাজ...
নৃত্যশিল্পী থেকে যেভাবে জেমসের জীবনসঙ্গী হয়ে উঠলেন নামিয়া
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত জগতের এক জীবন্ত কিংবদন্তি নগর বাউল জেমস। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সর্বদাই সংগীতপ্রেমী ও সাধারণ মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু।...
লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও দৈনিক ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক আনোয়ার আলদীন লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী...
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশি নিহত
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দুকুমে সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই চট্টগ্রাম সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের বাসিন্দা। নিহতের...
শহীদ আবু সাঈদের ছবি বুকে নিয়ে গাজার পথে শহিদুল আলম
গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ৪৪টি দেশের ৫৫টি জাহাজ নিয়ে...
