Read Time:2 Minute, 46 Second

পর্তুগালে জরুরি অবস্থাসহ সরকারের নানামুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্বেও কোনোভাবেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। সেই সাথে বাড়ছে মরণঘাতক করোনাভাইরাসে মৃত্যু এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

মহামারি করোনাভাইরাসে পর্তুগালে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৯ হাজার ৩৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছে। এছাড়া ২৪০ জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পর্তুগিজ স্বাস্থ্য অধিদফতর (ডিজিএস)। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার তালিকায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জন। সেই সাথে ৪৯৫৮ জন সন্দেহভাজনের রক্তের কনিকা এখনো পরীক্ষাধীন রয়েছে যা যেকোন মুহূর্তে প্রকাশ করা হতে পারে।

এই মুহূর্তে সারাদেশে ৬৬ হাজার ৮৯৫ জনকে কোয়ারেন্টাইন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানায় পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদফতর (ডিজিএস)।
এদিকে, পর্তুগালের লিসবনে বসবাসরত ৮ প্রবাসী বাংলাদেশির রক্ত পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে ৫ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ বলে নিশ্চিত করেন লিসবনের স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে বাকি ৩ জনের রক্তের কনিকা এখনো পরীক্ষাধীন রয়েছে বলে জানানো হয়। বর্তমানে আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

লিসবন কল্যাণ ট্রাস্টের প্রধান সমন্বয়ক জহিরুল আলম জসিম আক্রান্তদের বিষয়ে বলেন, আক্রান্ত আটজনই একই বাসায় বসবাস করতেন। তবে এর মাঝে আক্রান্ত হওয়া পাঁচজনের একজন সদ্য সুইজারল্যান্ড থেকে এসেছেন। সেই সাথে তিনি আক্রান্তদের ব্যাপারে লিসবন বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ”আতঙ্ক নয়” সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে কমিউনিটির মাঝে সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করতে হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ইউরোপ-আমেরিকার পর নতুন মৃত্যুপুরী হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া
Next post বেলজিয়ামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ বাংলাদেশি
Close