Read Time:5 Minute, 27 Second

মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমধারীদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। বললেন, দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ওয়ান আজিজাহ। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, বিগত সরকারের আমলে চালু হওয়া সেকেন্ড হোম আবেদনকারীদের শুধু ১০ বছরের ভিসা দেয়া হবে। মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব দেয়া হবে না।

সরকারের রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম’-এ বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের আমলা, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নানা পেশার চার হাজারের বেশি নাগরিক ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছেন মাই সেকেন্ড হোমে। এর মধ্যে অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি স্থায়ীভাবে সপরিবারে বসবাস করছেন । কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ করেছেন তা বাস্তবায়নের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান মাহাথির মোহাম্মদের সরকার।

মালয়েশিয়ার মিনিস্ট্রি অ্যান্ড ট্যুরিজম আর্টস অ্যান্ড কালচারের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য (২০১৮ সালের জুন) অনুযায়ী, পৃথিবীর ১৩০টি দেশের ৪০ হাজার নাগরিক ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ)’র বাসিন্দা হয়েছেন। যারা দেশটিতে সেকেন্ড হোমের বাসিন্দা হয়েছেন তার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে চীনা ও দ্বিতীয় জাপানিরা। আর তালিকার তৃতীয় স্থানেই রয়েছে বাংলাদেশের নাম।

পরিসংখ্যানে ঘেঁটে দেখা গেছে, ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে’ চীনা ১১ হাজার ৮২০ জন, জাপানিজ চার হাজার ১৮ জন আর বাংলাদেশিন সংখ্যা চার হাজার ১৮ জন। এরপর যথাক্রমে ব্রিটেন দুই হাজার ৬০৮ জন, দক্ষিণ কোরিয়া দুই হাজার ৬৯ জন, সিঙ্গাপুর এক হাজার ৪২১ জন, ইরান এক হাজার ৩৮১ জন, তাইওয়ান এক হাজার ৩৪৭ জন, পাকিস্তান এক হাজার ১৭ এবং ভারতের এক হাজার আটজন।

মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ) প্রকল্পের বেনিফিশিয়ারি হিসেবে বাংলাদেশিদের অংশ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বলে উল্লেখ করেছে ‘মাই এক্সপার্ট’ নামের একটি ওয়েবসাইট।

মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে আবেদনের ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের বয়স ৫০ প্লাস (বেশি) তাদের জন্য লিকুইড এসেটের (রেডি ক্যাশ) পরিমাণ থাকতে হবে সাড়ে তিন লাখ মালয়েশিয়ান রিংগিত। বাংলাদেশি টাকায় ৭৩ লাখ টাকা। সঙ্গে মাসিক আয় দেখাতে হবে ১০ হাজার মালয়েশিয়ান রিংগিত।

অপরদিকে, আবেদনকারী যাদের বয়স ৫০-এর নিচে তাদের জন্য লিকুইড এসেট থাকতে হবে পাঁট লাখ মালয়েশিয়ান রিংগিত। ভিসা পারমিট পাওয়ার আগে যাদের বয়স ৫০-এর নিচে তাদের জন্য মালয়েশিয়ান ব্যাংকে তিন লাখ রিংগিত ফিক্সড ডিপোজিট জমা করতে হবে। আবেদনকারী এক বছর পর সেখান থেকে দেড় লাখ রিংগিত উত্তোলন করতে পারবে। তবে দ্বিতীয় বছরে অবশ্যই একই পরিমাণ ব্যালেন্স লেনদেনের পর জমা থাকতে হবে মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম প্রোগ্রাম পর্যন্ত।

অপর দিকে, আবেদনকারী ৫০-এর ওপরে হলে দেড় লাখ রিংগিত দিয়ে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে একবছর পর আবেদনকারী তার জমা রিংগিত থেকে ৫০ হাজার রিংগিত উত্তোলন করতে পারবে। এই তালিকার আবেদনকারীকে অবশ্যই এক লাখ রিংগিত ব্যাংকে ব্যালান্স টাকা জমা রাখতে হবে।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে নানা সমস্যার মুখে পড়তে পারেন-এমন আশঙ্কায় অনেকে সেকেন্ড হোম নিচ্ছেন মালয়েশিয়ায়। দেশটির শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের থেকে অনেক উন্নত, এ কারণে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামে আবেদনের হিড়িক পড়ে যায়। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেকেন্ড হোম করতে যে টাকার প্রয়োজন হয়, তা বাংলাদেশ থেকে কেউই বৈধ পথে নেননি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post এবার ওমর ফারুকের ব্যাংক হিসাব তলব
Next post প্যাটারসনের বুকে যেন একখণ্ড বাংলাদেশ
Close