Read Time:3 Minute, 18 Second

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি …. রাজিউন)। আজ রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র ও আইএসপিআর সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লিভারে দীর্ঘদিনের সমস্যার পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৬ জুন সিএমএইচ-এ ভর্তি হন এরশাদ। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

এর আগে রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বনানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এরশাদের ছোট ভাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘দেশে এরশাদের যে চিকিৎসা চলছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, শিগগিরই তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছর ১২ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় তাকে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারেননি তিনি। নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশে ফিরে শপথ নেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হন। এরপর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে গত ২০ জানুয়ারি ফের চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুর যান তিনি। দেশে ফেরেন ৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর থেকে সিএমএইচেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এরশাদ।

এদিকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকে।

গত ২৬ জুন বারিধারা বাসা থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এরশাদকে। ক্রমশ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তাকে দেখতে হাসপাতালে যান।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post এরশাদের সন্তানরা কে কোথায়?
Next post এরশাদের শাসনকালীন সাফল্য
Close