Read Time:3 Minute, 29 Second

২০১০ সালে তৌরাত রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু হয়ে ছিল বাংলার বিজয় বহরের সূত্রপাত। বাফলা থেকে বেরিয়ে এসেই জন্ম নিয়েছিল বাংলার বিজয় বহর। বিগত ৯ বছর পর অবশেষে ভেঙে গেল, বাংলার বিজয় বহর। সম্প্রতি একটি সংবাদের মাধ্যমে ভাঙ্গনের চিত্র পাওয়া গেল। ইতিমধ্যে নতুন নেতৃত্বের কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কারণ একটাই, বিজয় বহরের গডফাদার বা মাফিয়া ব্যাক্তিই এই ভাঙ্গনের মূল কারণ। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও একলাচলার নীতিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিপূর্বে ২০১২ সালে আলাদিন রেস্টুরেন্টে বসে প্রথম একবার ভেঙ্গে ছিল, সেখানে আহম্মদ কবির, জয়নুল আবেদিন সরে দাঁড়িয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে তারেক বাবুর বাসায় সিটিং এ তার সমাধান হয়।

এরপর ২০১৫তে দুটি বাংলার বিজয় বহর হয়েছে। বাংলা একাডেমীর মিলনায়তনের মিটিং থেকে মাসুদ রব চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বাংলার বিজয় বহর হয় এবং আরেকটি বিজয় বহর হয় গড ফাদারের নেতৃত্বে। এই গড ফাদার তারমত করেই এ যাবৎ বিজয় বহর করে আসছেন, যাকে ইচ্ছা কমিটিতে অধিষ্ঠিত করেন যাকে ইচ্ছা বাদদেন। এই স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ স্বরূপ নতুন কমিটির আগমন। বিগত দিনে বাংলা বিজয় বহরের কোন সংবিধান ছিল না। বর্তমান নতুন কমিটি তাদের সংবিধান প্রণয়ন ও রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা দিয়েছে।

উক্ত কমিটির ব্যাংক একাউন্ট আছে বাংলার বিজয় বহরের নামে। অপর পক্ষের একটি ব্যাংক একাউন্ট আছে বেংলার বিজয় বহরের নামে। তার মাধ্যমেই অতিতের কার্যক্রম হয়েছে। যার হিসাব নিকাশ কমিটির কেউ জানে না। আয় ব্যায়ের হিসাবের মধ্যে কোন স্বচ্ছতা নেই বলে নতুন কমিটির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভ্যান্তরিণ সকল বিষয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলার সুযোগ কারও ই নেই বা ছিল না। সবকিছু মিলিয়ে অবশেষে অাভ্যান্তরিন ক্ষোভের মুখে বাংলার বিজয় বহর সাংগঠনিক ভাবে নতুন কমিটি ঘোষণা দিয়েছে। অধিকাংশ পুরোনো কর্মীরা এই নতুন কমিটিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের কথা আমরা কাউকেই বহিস্কার বা বাদ দেইনি। সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ অংশগ্রহণ বা যোগ দিতে পারেন। অর্থাৎ যারা দেবেন না তারাই পাল্টা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান করবে। নতুন কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন, তারেক বাবু এবং আহবায়ক, সোহেল রহমান বাদল।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বাংলার বিজয় বহর ভেঙে গেল
Next post লস এঞ্জেলেসে উত্তর আমেরিকা কবিতা সম্মেলন আগামী ২০ এপ্রিল
Close