Read Time:8 Minute, 0 Second

হাবিবুর রহমান ইমরান :

শ্রদ্ধাভাজন ও কম্যুনিটিবৃন্দ আস্সালামুআলাইকুম। একটি ভিন্ন ধারার মতামত ও আর্জি আজ আপনাদের সামনে পেশ করছি। প্রায় পাঁচ দশক যাবত এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমরা বাংলাদেশীদের বসবাস। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ন্যায় বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে থাকা নামী শহরের মধ্যে লস এঞ্জেলেস অন্যতম, আর নামী এই শহরেই আমরা বাংলাদেশীদের বৃহৎ একটি অংশের বসবাস। প্রবাসে বসবাসে আর্থিক ও সামাজিক সুবিধার পাশাপাশি কিছু প্রতিকুলতাও পেরোতে হয় সকলকে, যার বেশির ভাগই উপলব্ধি হয় শুরুর দিকেই। আমাদের প্রবাসি বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রেও তার বত্যয় ঘটেনি। তবে সবসময়ই কিছু গুনীজন ও দুরদর্শী মানুষ থাকেন যারা, পরবর্তি প্রজন্ম ও ভবিষ্যতে অনাগত স্বদেশী মানুষের কথা চিন্তা করে এই ভিনদেশে ও নিজেদের কৃষ্টি-কালচার, ধর্ম ও সামাজিক বৈষম্যের ভিন্নতায় সৃষ্ট প্রতিকুলতা হ্রাসে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকেন। সে জন্য তাদের অনেক চড়াই উৎরাই ও পাড়ি দিতে হয়। আমাদের বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে ও তার ব্যাতিক্রম নয়। তবে সফলতার মাপকাঠিতে আমাদের অবস্থান যাই হোক না কেন ক্ষুদ্র হলেও অর্জন আমাদের ঝুলিতেও রয়েছে। তারই একটি উদাহরণ সরূপ সুদুর এই লস এন্জেলেসে “লিটল বাংলাদেশ” এর নামকরন। আমি সর্ব প্রথমেই এই অর্জনের পেছনে যাদের শ্রম ও আর্থিক সহযোগীতা রয়েছে নাম উল্যেক্ষ ব্যাতীরেখে তাদের সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে আজ এই লস এঞ্জেলেসে প্রায় বিশ থেকে ত্রিশ হাজারের ও বেশি বাংলাদেশিদের বসবাস। কালের বিবর্তন ও সময়ের প্রয়োজনে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ধর্মিয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ক্রিয়া সংগঠন। যারা বিভিন্ন ভাবে প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে নানা ভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রসংশা কুড়িয়েছেন বাংলাদেশি ও এই মার্কিন সমাজে। সুদুর যুক্তরাষ্ট্রে আজ বাংলাদেশীদের জীবন মান ও চলার পথ পূর্বের থেকে অনেকটাই সহজ ও মসৃন হয়েছে। আমরা আমাদের শ্রম, মেধা-মননশীলতা ও সততার মাধ্যমে দেশের মুখ উজ্জল করে আজ অনেকটাই প্রশংসার দাবিদার। তারই ধারাবাহিকতায় এই দেশীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যে প্রচেষ্টা সেটা সহজ না হলেও প্রসংশনীয়। উল্ল্যেক্ষ্য এ দেশের রাজনিতির গোড়াপত্তন শুরু হয় ছোট্ট পরিসর থেকে এবং ধাপে ধাপে সেটা উন্নীত হতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়েও। কে জানে সেটা হতে পারে আপনার, আমার যে কারো সন্তান বা তাদের পরবর্তী কেহ। তবে শুরুটা যত দ্রুত হয় সাফল্যের সম্ভাবনাটা ততোই নাগালে থাকে, আর শুরুটাতো হয়েই গেছে এখন সময় শুধু এগিয়ে যাবার। এদেশে মূলধারার রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার প্রথম একটি ধাপ নেবারহুড কাউন্সিলে রিপ্রেজেনটেটিভ পদে প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে, এই লস এন্জেলেসেরই বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিল ম্যান প্রাথমিক প্রর্যায়ে নেবারহুড কাউন্সিলের প্রতিনিধি ছিলেন। আমাদের কমিউনিটির মধ্যেও অনেকেই এই নেবারহুড কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসাবে যুক্ত রয়েছেন। সংখ্যার সম্প্রসারণ ঘটলে আমাদের বাংলাদেশীদের মূলধারার রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার সুযোগের বিস্তর লাভ করবে। লিটল বাংলাদেশের চারপাশে যে সকল নেবারহুড কাউন্সিল রয়েছে তার মধ্যে, উইলশেয়ার সেন্টার কোরিয়াটাউন নেবারহুড কাউন্সিল, ওয়েস্ট লেক নেবারহুড কাউন্সিল ও রেম্পার্ট ভিলেজ নেবারহুড কাউন্সিল অন্যতম। নেবারহুড রিপ্রেজেন্টেটিভ পদে প্রবাসি বাংলাদেশীদের মধ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন : ১) প্রবাসী বাংলাদেশী মোহাম্মদ শহিদ (সাব ডিস্ট্রিক-২) উইলশেয়ার সেন্টার কোরিয়াটাউন নেবারহুড কাউন্সিল। তিনি বিগত কমিটিতে ছিলেন। ২) ফয়সাল আহমেদ তুহিন (সাব ডিস্ট্রিক-৫) উইলশেয়ার সেন্টার কোরিয়াটাউন নেবারহুড কাউন্সিল। তিনিও বিগত বছরে প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন। ৩) কাজী মশহুরুল হুদা কমিউনিটি ইন্টারেস্ট প্রতিনিধি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করেছেন রেম্পার্ট ভিলেজ নেবারহুড কাউন্সিলে। তিনি বর্তমানে উক্ত কাউন্সিলের কমিউনিটি এট লারজ রিপ্রেজেন্টেটিভ পদে রয়েছেন। এবং সর্বপরি ৪) লস্কর আল মামুন। তিনি অবশ্য ওয়েস্ট লেক নেবারহুড কাউন্সিল থেকে রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ি হয়েছেন। তিনি গত কাউন্সিলে প্রতিনিধি ছিলেন। আসুন আমরা আমাদের মতভেদ ও ব্যাক্তিগত চিন্তা ধারার ভিন্নতার উর্ধে উঠে উপরোল্লেখিত সকলকে আমাদের মুল্যবান ভোট প্রদান করে নির্বাচনে বিজয়ী করি। এই প্রবাসে বাংলাদেশি কম্যুনিটিকে আরো শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা একান্ত কাম্য। বি:দ্র: নির্বাচনের সময়, তারিখ ও নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিম্নের যে কারো সঙ্গে। ১) মোহাম্মদ শহিদ (২১৩) ৫৩১-১৯৭৯ ২) ফয়সাল আহমেদ তুহিন (২১৩) ৮৪০-৩৯৯৪ ৩) কাজী মাশহুরুল হুদা (২১৩) ৫৯০-১৫৫৪ ৪) লষ্কর আল-মামুন (২১৩) ৮৩৫-৭৬৪৩ আবারও অনুরো করছি সকলের কাছে, আসুন সকল প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে বিজয়ী করে এই প্রবাসে বাংলাদেশীদের অবস্থান আরো জোরালো করি।



Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা
Next post লিটল বাংলাদেশে গণহত্যা দিবস পালন
Close