Read Time:3 Minute, 12 Second

গণহত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং একাত্তরের ২৫ মার্চ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবিতে ৯ ডিসেম্বর রবিবার নিউইয়র্কে র‌্যালি করলেন বাংলাদেশিরা। দিনটি ছিল জাতিসংঘ ঘোষিত ‘গণহত্যা প্রতিরোধ এবং ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের রেজ্যুলেশন গ্রহণের ৭০তম বার্ষিকী’। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরেও এ উপলক্ষে সেমিনার হয়েছে।

হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে বাংলাদেশিরা সন্ধ্যায় জড়ো হন জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায়। ‘জেনোসাইড একাত্তর ফাউন্ডেশন, ইউএসএ’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ র‌্যালিতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূরএলাহি মিনাও ছিলেন বিশিষ্টজনদের মধ্যে।
হোস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ড. প্রদীপ করের নেতৃত্বে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরও ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এম এ আওয়াল, খুরশীদ আনোয়ার বাবলু, ঐক্য পরিষদের নেতা টমাস দুলু রায়, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রবিণী ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ার অধ্যাপক ড. সব্যসাচি দস্তিদার, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের শুভ রায়, প্রবিণী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সচিব শুভ জি দস্তিদার প্রমুখ।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মহাসচিবের বিশেষ উপদেষ্টা এডামা ডিয়েং বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে সারাবিশ্বে হিংসাত্মক বক্তব্য/মন্তব্য, বর্ণ-বিদ্বেষমূলক হামলা এবং জাতিগত কারণে সংঘাতের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এহেন অবস্থায় আমাদেরকে আরও জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।

এডামা উল্লেখ করেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, মানবিকতা এবং রিফ্যুজি আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা কমছে। তাই আমাদেরকে বাস্তবতার আলোকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরতার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে মামলার প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন মহাসচিবের বিশেষ এই উপদেষ্টা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সংসদ নির্বাচন; দেশমুখী হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
Next post বন্ধ হচ্ছে গুগলপ্লাস, ৫ কোটি মানুষের তথ্য হ্যাক
Close