Read Time:3 Minute, 11 Second

বাংলাদেশের বিজয় দিবস, ১৬ই ডিসেম্বরকে সামনে রেখে গত ৩০ নভেম্বর পুনরায় লিটল বাংলাদেশে বৃক্ষ পোপণ করা হয়েছে। কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট, ডিস্ট্রিক-১০ এর কাউন্সিলম্যান হারর্ব জে ওয়েসনের সহযোগিতায় ও শামিম হোসেনের উদ্দ্যোগে ৪টি বৃক্ষ লিটল বাংলাদেশের নামে পুণঃস্থাপন করা হয়।
বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রমে সকাল ৯টায় অংশ নেন মমিনুল হক বাচ্চু, শামিম হোসেন, কাজী মশহুরুল হুদা, ফ্রেন্স বাবু, তপন সাহা প্রমুখ। সিটি অব লস এঞ্জেলেস কতৃক বরাদ্দকৃত বৃক্ষ রোপনে সহায়তা করেন, কোরিয়াটাউন ইউথ কমিউনিটি সেন্টারের পক্ষে উইল লিভগুড (কমিউনিটি এ্যানগেজমেন্ট কো অর্ডিনেটর) এবং জারমি জ্যু (বিউটিফিকেশন আউটরিচ স্পেশালিস্ট)। যে চারটি গাছ লাগানো হয়েছে তার নাম ফ্লেম বৃক্ষ (Flame tree)। চারটি গাছের নামকরণ করা হয়েছে- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতন। প্রথম তিনটির নাম পূর্বেই নামকরণ করা ছিল। যা প্রতীকী হিসেবে ভাষা আন্দোলনের ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসকে স্মরণ করে দেওয়া হয়। তবে চতুর্থটি এবার নামকরণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে।
উল্লেখ্য, বিগত ৭/৮ বছর পূর্বে কাজী মশহুরুল হুদার উদ্দ্যোগে আয়োজিত প্রথম লিটল বাংলাদেশ বিউটিফিকেশ প্রগ্রামে, টম ল্যাবাঞ্চের সহায়তায় তিনটি গাছের অনুমোদন সিটি হল থেকে করা হয়েছিল যা কোরিয়াটাউন কমিউনিটি সেন্টার রোপনে সহায়তা করেছিল। সেই তিনটি গাছ ছিল ফিকাস বৃক্ষ (ficus tree)। কিন্তু পরিচর্যার অভাবে গাছ তিনটির মৃত্যু ঘটে। এই সকল বৃক্ষে সাধারণত সপ্তাহে ৫ গ্যালন পানির প্রয়োজন হয়। নিয়মিত ২ বছর গাছে পানি না দিলে পুনরায় মরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মমিনুল হক বাচ্চুর পরিচালনায় গাছে পানি দেওয়ার কমিটি গঠিত হয়েছে, যাতে প্রতি সপ্তাহে রোপিত গাছগুলো কমপক্ষে ৫ গ্যালন পানি পায়।
লিটল বাংলাদেশ এলাকায় এই চারটি গাছ লিটল বাংলাদেশের সম্পদ। এই এলাকা ঘিরে বাগান হবে এবং প্রতি গাছের নামকরণের সাইন বসানো হবে বলে আয়োজকবৃন্দ জানিয়েছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর সন্দেহে ফরাসি কর্মকর্তা আটক
Next post জি-২০ সম্মেলন ‘প্রত্যাবর্তন’ সৌদি যুবরাজের
Close