Read Time:3 Minute, 18 Second

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি এই উত্তেজনার সৃষ্টি। তাছাড়া, রাশিয়ার ওপর সম্প্রতি নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে বলেও দাবি করে আসছে মস্কো। এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার সামরিক ও গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট আরও ৩৩ ব্যক্তি ও সংস্থাকে নিষিদ্ধের তালিকাভুক্ত করেছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এমন উস্কানির জবাব দিতে রুশ সামরিক বাহিনী প্রয়োজনে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এ অবস্থায় বিশ্বে নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় গত বৃহস্পতিবার বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু করে ন্যাটো, যা চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

জবাবে রাশিয়াও চূড়ান্ত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্র বাড়াবাড়ির মাত্রা অতিক্রম করলে তার জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

এদিকে, ন্যাটোর সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে জোটের দেশগুলোর ৫০ হাজারের বেশি সেনা। মহড়ায় থাকছে ৬৫টি যুদ্ধজাহাজ, ১৫০টি যুদ্ধবিমান এবং দশ হাজার সাজোয়া যান। জল এবং স্থল পথে প্রতিপক্ষের হামলা মোকাবিলা এবং বিভিন্ন রণকৌশল প্রদর্শিত হচ্ছে মহড়ায়।

ন্যাটো একে অনুশীলনের ক্ষেত্র বললেও রাশিয়া এ মহড়াকে উস্কানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। মস্কোর অভিযোগ, ১৯৮৭ সালের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি আইএনএফ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর, রাশিয়া বিরোধী মনোভাব থেকেই সীমান্তবর্তী এলাকায় ন্যাটো জোট যুদ্ধের মহড়া চালাচ্ছে।

পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটির মধ্যকার চরম উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন নেতা মিখাইল গর্ভাচেভ সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়ালে কোনো পক্ষই জয়ী হতে পারবে না।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি থেকে সরে গেল পাশ্চাত্য
Next post রোমে কানেক্ট বাংলাদেশের তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন
Close