Read Time:4 Minute, 37 Second

গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে মুজিব সিদ্দিকী ৫ সদস্যের একটি টিম নিয়ে কোরিয়ান কমিউনিটির ৭ সদস্যের অপর একটি টিমের সঙ্গে সমঝোতা মূলক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিগত লিটল বাংলাদেশ নেবারহুড কাউন্সিলের হ্যাঁ/না ভোটকে কেন্দ্র করে (এক ফরমেশন মূলক নির্বাচনে) দুই কমিউনিটির মধ্যে একটি দূরত্ব সৃষ্টি হয়। দুই কমিউনিটির মধ্যে যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে তা নিরশনের জন্য উক্ত বৈঠকের প্রথম দফা মিটিং হয়েছে বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে। বৈঠকে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। কারণ বর্তমান উইলশ্যায়ার সেন্টার কোরিয়া টাউন নেবারহুড কাউন্সেলকে লিটল বাংলাদেশ নেবারহুড কাউন্সিল সাবডিভিশনে বিভক্ত করণ প্রক্রিয়ায় মূল নেবারহুড কাউন্সেলকে সমমানের বিভক্তিতে কোরিয়ান কমিউনিটি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং ১৫, ০০, ০০০ ডলার ব্যায় করে ১৯, ০০০ ভোটার সংগ্রহ করে সেই সাবডিভিশন প্রক্রিয়া রোধ করে। বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে মাত্র তিন শতাধিক ভোট পড়েছিল। কারণ কমিউনিটির সার্বিক সহযোগিতা সাবডিভিশন প্রক্রিয়ায় ছিলে না। সেক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল যারা সিটির কাছে প্রক্রিয়া করণের জন্য পিটিশন করেছিল তারা বিষয়টি নিজেদের মধ্যে আয়ত্ব করে রেখেছিল। কমিউনিটির সকলের অন্তভূক্তিকরণ ছিল না। প্রক্রিয়ায় ভুল থাকার ফলে কমিউনিটির ব্যাপক সমর্থন আদায় করতে না পারায় আজ বাংলাদেশ কমিউনিটির মানুষ কোরিয়ান কমিউনিটি রোষানলে পড়েছে। সেই ফাটল সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার জন্য মুজিব সিদ্দিকী কোরিয়ান কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন।
সূত্রে আরও প্রকাশ, উক্ত বৈঠকে ভুল ভ্রান্তি ও তার সমাধান মূলক আলাপ আলোচনা হয়েছে। কোরিয়ান কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন বিষয়টি সময় সাপেক্ষ। কারণ, কোরিয়ান কমিউনিটি অত্যান্ত ক্ষিপ্ত, তবে ধীর পদক্ষেপে দফায় দফায় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই কমিউনিটির মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টিতে প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।
কোরিয়ান কমিউনিটির সাথে বাংলাদেশ কমিউনিটির যে বৈঠক শুরু হয়েছে, তা সম্পর্কে সামসুদ্দিন মানিক বলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে যে দল বৈঠকে গেছে তা সঠিক প্রক্রিয়া নয়। কমিউনিটির পক্ষে যে কেউ নিজের ইচ্ছায় মন গড়া টিম তৈরি করে সমঝোতা সৃষ্টি করতে পারে না। তারজন্য টাউন হল মিটিং করে কমিউনিটির অনুমতি ও অনুমোদন ভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব মূলক একটি এডহক কমিটি গঠন করে, সেই কমিটির উপর সমঝোতার দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করা সংগত হবে। যে কেউ ব্যাক্তি স্বার্থকে চরিতার্থ করার লক্ষ্যে কমিউনিটিকে ব্যাবহার করা সঠিক হবে না বা করতে দেওয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেন সামসুদ্দিন মানিক।
তিনি আরও বলেন, মারুফ ইসলাম যেমন একক ভাবে সাবডিভিশন করতে গিয়ে কমিউনিটিকে বিভক্ত করেছে, সমঝোতার প্রক্রিয়াও একই ফল হবে।
তিনি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ঐক্যের মাধ্যমে টিম গঠন করে আগামীতে সমঝোতা প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই
Next post অবশেষে ‘জামাল খাসোগি মৃত’
Close