Read Time:3 Minute, 19 Second

ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খবরটি নিশ্চিত করেছেন আইয়ুব বাচ্চুর ঘনিষ্ঠজন ও এলআরবি’র সদস্য শামীম।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় আইয়ুব বাচ্চুর। সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট দেশের জনপ্রিয় এক শিল্পী চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে আইয়ুব বাচ্চুকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। আইয়ুব বাচ্চুর বহুদিনের ঘনিষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার মইনুদ্দিন রাশেদ জানিয়েছেন তার সহকারী সকালে মগবাজারের বাসায় গিয়ে তাকে সকালে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এর পর তারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার মৃত্যুর কারণ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়নি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৬ অক্টোবর রাতে রংপুরে একটি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাচ্চু। বুধবার রাত থেকেই তিন অস্বস্তি বোধ করছিলেন। সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওয়ানা হন স্বজন ও রাশেদ। তড়িঘড়ি তাকে স্কয়ার হাসপাতালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আনুমানিক সকাল ৯টায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দেশের তরুণদের রক গানের স্বাদ দিয়েছেন যারা, তাদের মধ্যে অন্যতম আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তি এই শিল্পী দীর্ঘ চার দশক ধরে সুরের আলো ছড়িয়ে গেছেন। এছাড়া গিটারের ছয় তারেও জয় করেছেন উপমহাদেশ। আইয়ুব বাচ্চু একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে দেশে বিদেশে সমাদৃত ছিলেন। মঞ্চ পারফরমেন্সে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বি।
তার জনপ্রিয় গানগুলো মধ্যে রয়েছে- ‘এক আকাশের তারা তুই একা গুনিস নি’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘উড়াল দেব আকাশে’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’, ‘সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে’। বাচ্চুর কয়েকশ’ গান আজও দর্শকশ্রোতাদের ঠোটে। এসব গান তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post এলএবাংলা ইউনিক ক্লাবের সামার ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০১৮’র ফাইনাল
Next post লিটল বাংলাদেশ কমিউনিটি ও কোরিয়ান কমিউনিটির সমঝোতার বৈঠক
Close